ডেস্ক রিপোর্ট : জেলায় ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গুলো সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। তাদের সময় অপচয় বা টাকা খরচ করে আর শহরে যেতে হয় না। ঘরে বসেই সব ধরনের সেবা নিতে পারছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।জেলার পাঁচ উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নের মাধ্যমে বর্তমানে এই ডিজিটাল সেবা প্রদান করা হচ্ছে সাধারণ লোকজনদের। সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে জন্ম নিবন্ধন, কম্পিউটার কম্পোজ ও প্রিন্ট, ছবি তোলা, ছবি, সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন লেমিনেটিং করা, ফটোকপি করা, পাসপোর্ট ফরম পূরণ করা, ইমেইল, ইন্টারনেট, ভিডিও কলিং, চাকরির তথ্য প্রাপ্তি ও আবেদন করা, ভর্তি, কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ এজেন্ট ব্যাংকিং ইত্যাদি।

সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল আমদই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারটি জেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। উল্লিখিত সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য এলাকাবাসীদের টাকা এবং সময় অপচয় করে জেলা শহরে আসতে হতো। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তোলার কারণে ঘরে বসেই সেই সেবা পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এসব সেবা প্রাপ্তিতে খুশি বলে জানান, মেয়ের জন্য জন্ম সনদ নিতে আসা আমদই ইউনিয়নের গুয়াবাড়ীঘাট গ্রামের নাজমা বেগম, ঋণের জন্য আবেদন করতে আসা হিন্দুপাড়ার বিপ্লব দেবনাথ, ফটোকপি করতে আসা পাইকর গ্রামের গোলাম মস্তোফা, ওয়ারিশান সনদ নিতে আসা কাদোয়া গ্রামের আবু রাইহান, জন্ম সনদ নিতে আসা মাধাই নগর গ্রামের প্রতীক প্রামানিক ও হাটুভাঙ্গা গ্রামের শিক্ষার্থী মাবুদুল ইসলাম।

গত এক বছরে আমদই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রায় লক্ষাধিক মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়েছে বলে জানান, আমদই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোতারফ হোসেন জুয়েল। স্ত্রী ফেরদৌসী জুয়েলও স্বামীর সকল কাজে সহযোগিতা করে থাকেন বলে জানান। ইউনিয়ন উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাস্টার ট্রেনার হিসাবেও দায়িত্ব পালন সহ বিভিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করেন বলেও জানান মোতারফ হোসেন জুয়েল। আমদই ইউনিয়ন ডিজিটাল ল্যাবে বর্তমানে ১২ শিক্ষার্থী সহ এ পর্যন্ত ৯৫ জন কম্পিউটার বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সেবা প্রদানের পাশাপাশি ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেকার যুব সমাজ দক্ষতা অর্জন করছে এবং বিভিন্ন আয় বর্ধনমূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছেন।

ইউনিয়ন সচিব গোলাম বুলবুল বলেন, অনলাইন ভিত্তিক সেবার কারণে অনেক সুবিধা হয়েছে। আমদই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহানুর আলম সাবু বাসস’কে বলেন দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে এই ইউনিয়নের লোকজন সেবা নিতে পারেন। জেলার বাইরে অবস্থান করা বিশেষ করে গার্মেন্টস কর্মীদের সুবিধা হয়েছে বেশি। কোন কাজে বাড়তি টাকা খরচ করে আসার দরকার পড়ে না। শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন পাঠালেই সেবা পৌঁছে যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য বর্তমান সরকারের স্বপ্নকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো বলে মন্তব্য করেন তিনি। জেলার ৩০টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসক মো. মোকাম্মেল হক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত আইসিটি বিভাগ।

বি/এস/এস/এন


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে