ডেস্ক রিপোর্ট : ম‌হিলা আওয়ামী লী‌গের ১৫১ সদস্য বি‌শিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক‌মি‌টি গত শনিবার ঘোষণা করেন সংগঠনের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক। তবে কমিটিতে স্বামী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বিবেচনায় জামায়াতে ইসলামীর নেতার মেয়ে রিজিয়া নদভীকে মহিলা আওয়ামী লীগের পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে।

চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে একাধিকবার জামায়াতের এমপি প্রার্থী এবং দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মুমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া ইসলামী ছাত্রী সংস্থায় যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এখন সাতকানিয়া-লোহাগড়া আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর স্ত্রী।

এই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেসবুকে লিখেছেন, বুঝতে পারলাম না, জামাই-বউ সবাইকে পদ পদবী পেতে হবে কেন? তাও আবার জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় নেতার কন্যা ইসলামী ছাত্রী সংস্থার নেত্রীকে?

কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে ৬৮ নম্বরে রয়েছে রিজিয়ার নাম। এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম ক্রিক রবিবার বলেন, রিজিয়ার বাবা জামায়াতে ইসলামীর নেতা হলেও পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে তার স্বামীর পরিচয়ই গুরুত্ব পেয়েছে। তার ওই বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাসহ অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম লিখেছেন, ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা কর্মীর কি দেশে আকাল পড়েছে? কই সভানেত্রীর প্রয়াত স্বামী, বোন বা তাদের সন্তানদের তো দলের কোনো পদ পদবীতে দেখা যায়নি। নাকি তাদের যোগ্যতার অভাব আছে?

মাহমুদা বেগমের মন্তব্যের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এই প্রটোকল অফিসার বলেন, নির্বাচন সামনে। দয়া করে এসব আকাম করে, আবার তা ঢাকতে আকথা কুকথা বলে নেতাকর্মীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে তাদের মাঠবিমুখ করবেন না। সামনে কঠিন সময়। ২০০১ এর পর এবং ১/১১ এর সময়ের কথা কি মনে পড়ে না? কারা কোথায় ছিল?

 

ব/দ/প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে