আজিজ খান, গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোলাপগঞ্জে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে তথ্যের সম্ভার নিয়ে আসা তথ্য আপার উঠান বৈঠক। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীনে বাস্তবায়নাধীন তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) আওতায় এবং উপজেলা তথ্যকেন্দ্রের আয়োজনে এ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে মহিলাদের বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতামূলক এ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠান হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত নারীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির এর সভাপতিত্বে সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল হক বলে, তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানে সমান অধিকার ও সুযোগ দিয়ে নারী সামাজিক অবস্থানকে উন্নত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম হিসাবে অবদান রাখছে আইসিটি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার মহৎ উদ্যোগ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে যদি আইসিটির ক্ষমতা ও দক্ষতার সাহায্যে নারীর ক্ষমতায়ন উদ্যোগকে গুণগতভাবে এবং পরিমাপযোগ্য সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায়।

তথ্যসেবা কর্মকর্তা নাজবিন আক্তারের (তথ্য আপা) সঞ্চালনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত কিংবা সুবিধা প্রাপ্ত নারীর তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তির সেবা প্রদান নিঃসন্দেহে নারীর ক্ষমতায়নকে তরান্বিত করবে।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি তত্ত¡াবধানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীন ‘তথ্য আপা’ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের কাজ এগিয়ে চলছে। তথ্য আপারা যতই চেষ্টা করুক, নারীরা যদি এগিয়ে না আসে তাহলে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে না। এ কারণে নারীদেরকেও এগিয়ে আসতে হবে।

উঠান বৈঠকে আসা লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা বলেন, আমরা সবসময় সংসারের কাজে ব্যস্ত সময় পার করি। আমি আগে বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ বিভিন্ন বিষয়ের খারাপ দিক সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতাম না। কিন্তু তথ্য আপার উঠান বৈঠকে এসে এসব খারাপ বিষয়ের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে পেরেছি। আমি সচেতন হয়েছি। আমিসহ গ্রামের গৃহিণীরা তথ্য আপার উঠান বৈঠক দ্বারা অনেক উপকৃত হচ্ছি। বেশি বেশি করে এ ধরনের উঠান বৈঠকের আয়োজন করা উচিত। গ্রামের মহিলারা সচেতন হলেই সমাজ থেকে এ ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাস নামক সমস্যাগুলো আস্তে আস্তে দূর করা সম্ভব।

এ সময় অতিথি হিসেবে আরোও বক্তব্য রাখেন লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজু আহমদ, গোলাপগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি আজিজ খান, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের মহিলা সদস্য সন্ধ্যা রানী চন্দ, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য ইমাম উদ্দিন প্রমুখ।

এ উঠান বৈঠকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম কবির উপস্থিত মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গ অর্থাৎ হিজড়া স¤প্রদায়ের মধ্যে কয়েকজনকে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে