রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ক্ষমতা ও রাজনীতি জনগণের কল্যাণের জন্য। নেতা হয়ে ভাব ধরার জন্য নয়।জনগণের ভালোর জন্য সবাইকে (রাজনীতিবিদদের) ছাড় দিতে হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাতে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের সদস্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের সার্বিক কল্যাণের জন্য নির্বাচিত প্রতিনিধি বা নেতা হিসেবে সবাইকে কাজ করতে হবে। নির্বাচনে জয়ীদের উচিত পরাজিতদের সাহায্য নিয়ে একত্রে কাজ করা। সবাই মিলেমিশে কাজ করলে এলাকা ভালোভাবে চলবে। নি:সন্দেহে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।

সব ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড পরিহার করে মিলেমিশে রাজনীতি করার জন্য সব রাজনৈতিক দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।  

নিজের রাজনৈতিক জীবনের উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল কিন্তু বিজয়ী হওয়ার পরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর গলায়ই মালা দিয়েছি। তাদের পরিবার ও সন্তানদের জন্য কাজ করেছি।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ধনী হওয়ার জন্য রাজনীতি করিনি। হাওরের উন্নয়ন, জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। এলাকার উন্নয়নের জন্য শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শান্তি-শৃঙ্খলা না থাকলে উন্নয়ন হবে না।

রাষ্ট্রপতি স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও জনগণসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্থানীয় উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সময়ে টেকনিক্যাল শিক্ষা অতীব প্রয়োজন। বর্তমানে চাকরির বাজার খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

তিনি শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের উপদেশ দেন।

রাষ্ট্রপতি দেশ ও জনগণের স্বার্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন-কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু, অষ্টগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সহিদুল ইসলাম জেমস, অষ্টগ্রাম সরকারি রোটারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা আরিফ খানসহ আরও অনেকে।  

এ সময় বঙ্গভবনের সচিব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

২৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ দিনের সফরে কিশোরগঞ্জ এসেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি কিশোরগঞ্জ সদরসহ হাওরের মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা উপজেলা সফর করবেন।  

ban/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে