মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা উত্তরপাড়া থেকে বড়ভিটা দলবাড়ি পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কটি দেখলে মনে হয় এটি কোন চাষাবাদের জমি দীর্ঘদিন থেকে সংস্কার না করার কারণে এখন সড়কটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।

সড়কটি সংস্কার না করার কারণে চলতি বর্ষার মৌসুমে সড়কটিতে হাঁটু পরিমাণ কাঁদা পানি জমে থাকায় সড়কটি দিয়ে যাতায়াতে এলাকাবাসী চরম দূভোর্গের স্বীকার হচ্ছে। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, সরকারী অফিসে কর্মরত কর্মচারী, এলাকার সাধারণ মানুুষ এর ফল ভোগ করছে। সময় মত কাজে যেতে পাড়ছে না। আর যদি ভেলিভারি রোগী হয় তা হলেতো সেখানেই বাচ্ছা প্রসব হয়ে যাবে মেডিকেল যাওয়ার আগেই এমনি হাল হয়েছে সড়কটির।

রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ভিটা উত্তরপাড়া গ্রামের রংপুর দিনাজপুর তিস্তা সেচ ক্যানেলের পাড় হতে বড়ভিটা দলবাড়ি পর্যন্ত সড়কটিতে হাঁটু পরিমান কাঁদা পানি জমে আছে। সড়কটি দেখলে মনে হয় এটি কোন চাষাবাদের জমি। ওই এলাকার বাসিন্দা লেলিন ইসলাম, রোকন প্রামানিক, সেলিম আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম, আবুল বাসারসহ অনেকেই বলেন, সড়কটি সংস্কারের জন্য বছরের পর বছর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতার্র দপ্তর, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সংসদ সদস্য থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সড়ক সংস্কারের আবেদন করেছি কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি।

দলবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা লেলিন ইসলাম বলেন, সরকারী টিআর এবং কাবিখা প্রকল্প থেকে বরাদ্দ নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভাল সড়ক সংস্কার করছে এবং কোন কোন সড়কে প্রতিবছর টিআরের বরাদ্দ দিয়ে রাস্তা উপরি ভাগের অংশ কোন রকম কেঁটে উচুঁ নিচুঁ ঠিক করে সব টাকা আত্নসাৎ করছে কিন্তু বড়ভিটা উত্তরপাড়া সড়কটি কেউ সংস্কার করে দিচ্ছেনা। ফলে মনে হয় আমরা ছিটমহলের বাসিন্দা হয়ে গেছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের আরোও কিছু বাসিন্দা জানান, সরকারী টিআর কাবিখা প্রকল্পের অর্থ থেকে সড়কটি সংস্কারের বরাদ্দ দিলে এখানে কোন লাভ হবেনা তাই ওই প্রকল্প থেকে এখানে বরাদ্দ দেয়া হয়না।

শুধু ভাল রাস্তা সংস্কারের জন্য টিআর কাবিখার বরাদ্দ দেয়া হয়। বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলার রহমান বলেন, সড়কটি দিয়ে চলাচল করা অনেক কষ্টকর। ওই এলাকার মানুষের দুভোর্গের কথা বিবেচনা করে সড়কটি পাঁকা করণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়েছি। কোন কাজ না হওয়ায় এলজিএসপি প্রকল্প থেকে ৩শ মিটার সড়ক হিরিংবন্ড করে দিয়েছি । বর্তমানে কোন বরাদ্দ না থাকায় পারছিনা। আমার যতটুকু ক্ষমতা আমি করেছি ।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, সড়কটির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে