কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: এসিল্যান্ড পরিচয়ে মোবাইল ফোনে এক বেকারীর মালিকের নিকট থেকে কৌশলে প্রতারক চক্রের টাকা আদায়।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া মাস্টার পাড়া ওয়াদা ফুড বেকারী। জানাগেছে, সোমবার বিকালের দিকে মাগুড়া ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার (গ্রাম পুলিশ) মতলুবর রহমানকে এই ০১৭৬৫৪৫৪১৪৮ নম্বরে এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়ে ফোন করা হয় এবং মাগুড়া ইউনিয়নে কয়টি বেকারী আছে জানতে চান।

মতলুবর রহমান বলেন, আমাদের ইউনিয়নে ৩টি বেকারী রয়েছে ২টি ২নং ওয়ার্ডে আর ১টি ৪নং ওয়ার্ডে বলে ফোন কেটে দেন। তার কিছুক্ষন পর ৪নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ সহিদুল ইসলামের কাছে একই নম্বারে ফোন আসে।

তাকেও এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়ে বলেন আমরা পরিষদে আছি আপনি ওয়াদা ফুডের মালিককে ফোন ধরে দেন। বেকারীর মালিক ওয়ারেছ আলী বাদশা সাথে কথা হলে তিনি বলেন গ্রাম পুলিশ আমাকে ফোন ধরে দেন আপনার সাথে এসিল্যান্ড স্যার কথা বলবে।

তখন আমি স্যার সম্বোধন করে কথা বলি আমি বাইরে আছি বেকারী বন্ধ রয়েছে। কথার এক পর্যায়ে তিনি বলেন ভোক্তা অধিকারের লোকজন আপনার কাগজ পত্রাদি দেখার জন্য আসতেছে।

তিনি বলেন স্যার আমার ২টি কাগজ ঠিক আছে আর একটি কাগজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তখন তিনি বলেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি পরিষদে পাটিয়ে দেন এবং ০১৬০১৪৬৬৬০৭ নম্বরে ৫৬০০(পাঁচ হাজার ছয়শত) টাকা পাঠিয়ে দিন। আমরা আর অপনার কাছে যাচ্ছিনা। সাথে সাথে বেকারীর মালিক ওই নম্বরে টাকা দেন।

এ ব্যাপারে মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান মিঠুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি শুনেছি এবং ইউএনও মহোদয়কে অবগত করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখতেছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে