সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকারঃ মাত্র ১৫০ মিটার মাটির রাস্তার অভাবে কাজীপুরের প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাচা শিক্ষার্থীরা বর্ষার ৩টি মাস জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুৃলে যাতায়াত করে থাকে।গতকাল সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়। কাজীপুর সদর ইউনিয়নের প্রজারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৭ সালে যমুনার ভাঙ্গনের কবলে পড়লে বর্তমান অবস্থান একই ইউনিয়নের সিংড়াবাড়িতে বর্নানিয়ন্ত্রন বাধের প্রায় ১৫০ মিটার পঞ্চিমে এনে স্থানান্তর করা হয়।
পরের বছর উল্লেখিত স্থানে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একতলা পাকা ভবন নির্মানের মাধ্যমে অধ্যবদি বিদ্যালয়ের পাঠদান পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আলহাজ্ব রহিমা পারভীন জানান, আমার বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষিকা ১০২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিবছর পি এস সিতে ভালো ফলাফল সহ সকল পরিক্ষায় মেধা তালিকায় সুনাম অর্জন করেছি। আর এসমস্থ আমাদের শিক্ষক -শিক্ষিকাদের অত্যান্ত নিষ্টার সাথে দয়িত্ব পালনের জন্য সম্ভব হয়েছে।
তবে তিনি ক্ষোভ করে জানান বিদ্যালয়টি স্থানান্তরের প্রায় দুইযুগ অতিক্রান্ত হলেও মাত্র ১৫০ মিটার কাঁচা রাস্তায় মাটি ফেলার অভাবে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুই পাশে গভীর গর্তের মাঝখানে সুরু রাস্তা দিয়ে কচিকাচা ছেলে-মেয়েদের যাতায়াত করতে হয়, ভয় হয় যদি পা ফসকে গর্তে পড়ে যায়।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুল করিম জানান প্রধান শিক্ষকা আলহাজ্ব রহিমা পারভীন একজন ধর্মানুরাগি ও বিদ্যানুরাগি মহিলা। প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৩৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে সরকারকে লিখে দেয়ার পর বিদ্যালয়টিতে পাকা ভবন হয়েছে। যাতায়াতের কষ্টের কথা স্বীকার করে বলেন সরকারি জায়গা রয়েছে। স্থানীয় লোকজন সহযোগিতা করলে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব।