4bk2521c89cdda37ev_620C350

বিডি নীয়ালা নিউজ(২লা ফেব্রুয়ারী ১৬)-আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনঃ মিয়ানমারে অর্ধ শতাব্দির বেশি সময় পর যাত্রা শুরু করেছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নতুন পার্লামেন্ট। উদ্বোধনী অধিবেশনে এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন কয়েকশ’ নতুন এমপি। বেশিরভাগই গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি)। সু চির দলের সঙ্গে কয়েকটি ছোট পার্টির এমপি’রাও সোমবার শপথ নিয়েছেন। এরপর তারা আসন গ্রহণ করেন। এর মধ্য দিয়ে গত বছর নভেম্বরে মিয়ানমারে অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে জয়ী এমপি’রা এই প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশনে যোগ দিলেন। তারা এখন দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন ও ভোট দেবেন। নভেম্বরের নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল ভোটে জয়লাভ করে।  সু চি নিজ আসনে জয়লাভ করা ছাড়াও এনএলডি নির্বাচনের প্রায় ৮০ শতাংশ আসন দখল করে। কিন্তু মিয়ানমারের জান্তা আমলের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের একচতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে থাকছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মণ্ত্রণালয়ও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একারণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হবে এনএলডি’কে। সোমবার শপথ গ্রহণের পর নিয়মানুযায়ী প্রথমেই পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান এবং উচ্চ ও নিম্ন কক্ষের স্পিকার নির্বাচন করার কথা রয়েছে। (এনএলডি)-র উইন খেয়াং থান ও উইন মিন্ট কক্ষ দু’টির স্পিকার নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির ইউ থি কুন মিয়াত তার সহকারী নির্বাচিত হচ্ছেন। তবে পার্লামেন্টের মূল মনযোগ এখন নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে।

সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এখনও সু চির নাম প্রস্তাব করা হয়নি। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, স্বামী কিংবা সন্তান বিদেশি নাগরিক এমন কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির ছেলে যুক্তরাজ্যের নাগরিক। সোমবার সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি সু চি। যদিও ভোটে জয়লাভ করার পর সু চি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, ‘সরকার পুরোপুরি’ তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে