cow

বিডি নীয়ালা নিউজ(৭ই সেপ্টেম্বর ২০১৬) আজিজ খান,গোলাপগঞ্জ (সিলেট )প্রতিনিধি : ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এই ঈদে মুসলমানরা প্রাণি কুরবানী দিয়ে থাকেন। দেশে সারাবছর যত সংখ্যক প্রাণি জবাই হয় তার প্রায় অর্ধেকই হয় কোরবানীর সময়। এজন্য এসময় প্রাণির চাহিদা ও দাম দুটোই বৃদ্ধি পায়। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দেশের অনেক বেকার যুবক, ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ খামারীদের কর্মসংস্থান হয় গরু মোটাতাজা করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৫ সালে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, প্রাণি লালন-পালন করে প্রতিবছর অর্থনিতীতে ১০ হাজার কোটি টাকা যুক্ত হয়। কিন্তু অর্থনীতির বিশাল এই সুযোগকে কতিপয় অসাধু লোকের অবৈধ উপায়ে মোটাতাজাকরণের ফলে মোটাতাজা গরু মানেই সর্বসাধারনের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। অবৈধ উপায়ে ঔষধ ও ইঞ্জেকশন প্রয়োগকারীর সংখ্যা খুবই কম। তাই অবৈধভাবে মোটাতাজা করা গরুর সংখ্যাও খুবই কম। তাছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঔষধ খাওয়ানো গরু ধরা পড়লে শাস্তি ও জরিমানা, কুরবানির হাট ভেটেরিনারিয়ান দ্বারা মনিটরিং এ সংখ্যা কমাতে বিশাল ভূমিকা রাখছে। সুতরাং মোটাতাজা গরু মানেই আতঙ্ক হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে গরু মোটাতাজাকরণের জন্য বৈজ্ঞানিক ও বৈধ পদ্ধতি বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। যদি বৈজ্ঞানিক বা বৈধ পদ্ধতিতে গরুর শরীরেই ব্যবহৃত হয় এবং তা মানুষ অথবা গরু কারোরই জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে অধিক মুনাফার আশায় যারা ইনজেকশন পুশ করে গরু মোটাতাজা করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন বিভোর তারা কি ভাবছে ? তাদের এ লোভ কারনে এক সময় মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে পারে।

এদিকে কোরবানীর ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে ততই ভারতীয় গরুতে সয়লাব হয়ে উঠছে গোলাপগঞ্জের  হাট, বাজারে ভারতীয় গরুর সারি দেখা গেছে।  উপজেলার বিভিন্ন হাট, বাজার পরিদর্শনের সময় ভারতীয় গরুর তোড়ে চলাচল ও কষ্টকর হয়ে পড়েছিল। গোলাপগঞ্জের  বিভিন্ন বাজার ও ভাম্যমান বাজার ঢাকাদক্ষিণ, পুরকায়স্থ বাজার, গোলাপগঞ্জ বাজার, ডিপুটি (রাওকার) বাজারসহ উপজেলার বড় বড় বাজারগুলো ভারতীয় গরুতে সয়লাব দেখা গেছে। তবে ভারতীয় গরুর প্রতি সাধারণ ক্রেতাদের আকর্ষণ কম বলে অনেকে জানান। তারা দেশী গরুর দাম বেশি বা কম হোক সেদিকেই ঝুঁকে পড়ছেন। বাজার ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবান নিকটে এলে বুঝা যায় ভারতীয় গরুর কদর কি! তারা বলেন, যারা নিজেদের পছন্দসই দেশী গরু মেলাতে পারে না তারা ভারতীয় গরু কিনেন। ভারতীয় গরু ব্যাপরী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, সরকারকে কর দিয়েই ভারতীয় সীমান্ত বাজার থেকে বৈধভাবে গরু আনার পথে অনেক জায়গায় চাঁদাবাজির হয় বিধায় অনেক দাম।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে