আন্তর্জাতিক রিপোর্ট : আল জাজিরা টেলিভিশন বন্ধ করা, তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি তুলে দেয়া এবং ইরানের সাথে সম্পর্ক হ্রাস করাসহ যে ১৩ দফা দাবি বেধে দিয়েছিল সৌদি আরব ও তার মিত্ররা, তার সময়সীমা শেষ হয়েছে।দাবি মানতে সম্মত হয়নি কাতার।এ নিয়ে আজ আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে কাতার।আর সেটি পাঠানো হবে কাতার সংকটে মধ্যস্থতাকারী কুয়েতের কাছে।সেই সঙ্গে আলোচনার জন্যও কাতার প্রস্তুত বলে জানিয়েছে।ইতিমধ্যেই আরো নিষেধাজ্ঞা যে আরোপ করা হতে পারে সেই বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো।সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পর এখন কাতারের বিরুদ্ধে কি ধরণের পদক্ষেপ আসতে পারে?

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজ মনে করেন, দুই একদিনের মধ্যে কাতারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা নেই।বরং বুধবার সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন। সেখান থেকে এ সংক্রান্ত নতুন কোন নির্দেশনা আসতে পারে।সেই সঙ্গে কুয়েত সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, সেটি যদি সফল হয়, তাহলে এখনকার উত্তেজনা কিছুটা উপশম হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ।

তবে, কাতারের জন্য অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা করা কঠিন হবে।অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলছেন, বিশেষ করে দেশটির প্রধান আয়ের উৎস এবং রপ্তানি পণ্য প্রাকৃতিক গ্যাস, এর ওপর এখনো পর্যন্ত কোন চাপ আসেনি, কিন্তু যদি আসে তাহলে অর্থনৈতিকভাবে সে ধকল মোকাবেলা করা কাতারের জন্য কঠিন হবে।যদিও এখনো পর্যন্ত ইরান ও তুরস্কের কাছ থেকে সমর্থন ও সহায়তা পেয়েছে কাতার, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সেটি কাজ নাও করতে পারে।

এদিকে, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান বিন জসিম আল থানি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন ও শৃঙ্খলার কারণে বড় দেশগুলো ছোটো দেশগুলোকে পীড়ন করতে পারে না; আল্টিমেটামও দিতে পারে না।কোনো সার্বভৌম দেশকে অন্য কেউ আল্টিমেটাম দেয়ার কোনো অধিকার নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে