stethoscope on blue background with space for simple text

ডেস্ক রিপোর্টঃ অফিসে কাজের ফাঁকে যখনই সময় পাবেন, তখনই আমলকিতে কামড় বসাতে ভুলবেন না যেন! আর যদি সে সময়ও হাতে না থাকে, তাহলে সকাল সকাল অফিস বেরনোর আগে হাফ বোতল আমলকির রস বানিয়ে নেবেন, আর সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে খেতে থাকবেন! এমনটা করলে শরীরে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও সব উপকারি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে, যার প্রভাবে একদিকে যেমন ত্বক ফর্সা হয়ে উটবে, তেমনি আরও সব উপকার মিলতে শুরু করবে। যেমন ধরুন…

ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবেঃ শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি-এর মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর আমলিকে হল ভিটামিন সি-এর খনি। তাই তো এই ফলটি খেতে শুরু করলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে শুরু করে। আর যদি আমলকি দিয়ে বানানো ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে আরও চটজলদি উপকার পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হল এই ফেস প্যাকটি বানাবেন কীভাবে? এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আমলার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে শুরু করলে ফল পাওয়া যাবে একেবারে হাতে-নাতে!

ত্বকের বয়স কমবেঃ শরীরের বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স না বাড়ুক এমনটা চান নাকি? তাহলে বন্ধু প্রতিদিন একটা করে কাঁচা আমলকি খেতেই হবে। আর যদি কাঁচা অবস্থায় খেতে না পারেন, তাহলে জুস বানিয়ে খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের সৌন্দর্য চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পাবে। আসলে এই ফলটি খাওয়া মাত্র দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে বলিরেখা গায়েব হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ত্বক এতটাই টান টান হয়ে ওঠে যে ত্বকের বয়স কমতে সময় লাগে না।

দাগের প্রকোপ কমায়ঃ সারা মুখ কি ছোট ছোট কালো ছোপে ভরে গেছে? তাহলে আজ থেকেই আমলকির রস খাওয়া শুরু করুন। সেই সঙ্গে তুলোর সাহায্যে অল্প অল্প করে আমলকির রস মুখে লাগান। এমনটা নিয়মিত করতে থাকলে যে কানও ধরনের দাগ ভ্যানিশ হয়ে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে কালো চোপও মিলিয়ে যায়। তাই তো বলি বন্ধু এবার থেকে স্কিন পিগমেন্টটেশন কমাতে দয়া করে কোনও কসমেটিক্স ব্যবহার করবেন না। বরং আমলকির রসকে কাজে লাগাতে শুরু করুন। দেখবেন বেশি তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন!

স্কিন টোনের উন্নতি ঘটেঃ ফর্সা ত্বকের অধিকারি হয়ে উঠতে কে না চায় বলুন! যদি আপনিও এমন স্বপ্ন দেখে থাকেন, তাহলে নিয়মিত আমলকি খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ একাধিক স্টাডিতে দেখা গেছে এই ফলটি খাওয়া মাত্রা ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বেড়ে যেতে শুরু করে। আর যখন এমনটা হয়, তখন যে কেবলমাত্র ত্বক ফর্সা হয়ে ওঠে, তা নয়, সেই সঙ্গে স্কিন নরম এবং তুলতুলে হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।

ব্রণর প্রকোপ কমেঃ আমলকি খাওয়ার পাশাপাশি এই ফলটি দিয়ে বানানো পেস্ট মুখে লাগাতে শুরু করলে ব্রণর প্রকোপ কমে যেতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে ব্রণ এবং পিম্পলের দাগও মিলিয়ে যায়। আসলে আমলকির অন্দরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, রক্তে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রণর মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, আমলকির পেস্টটা কম করে ১০-১৫ মিনিট মুখে রেখে তবে ধুয়ে ফেলতে হবে। আর যদি এমনটা করতে না পারেন, তাহলে কিন্তু সেভাবে উপকার পাবেন না!

পিবিএ/এমআর

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে