আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতা কমবে। এরপর আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টির প্রবণতা ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে লঘুচাপের প্রভাবে ঝোড়ো হওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি লঘুচাপটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের কাছাকাছি রয়েছে। সমস্যা হবে না, এটি হয়তো উপকূলে উঠে আজ-কালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সিগন্যাল যেটা আছে সেটা আপাতত থাকবে। আবহাওয়া ভালোর দিকে যাচ্ছে। বৃষ্টি কমে যাবে।

এখন রংপুর বিভাগে বৃষ্টির প্রবণতা বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ডিমলায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সিলেটেও বৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রামেও বৃষ্টি রয়েছে।’

‘আজকেও মূলত রংপুর, খুলনা, সিলেট, ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে’ বলেন বজলুর রশিদ।

তিনি বলেন, ‘আগামী দু-তিন দিনে বৃষ্টি ক্রমেই কমে যাবে। এরপর ১০-১১ অক্টোবরের পর আবার একটা বৃষ্টি আসবে। আপাতত ঢাকায় সেভাবে বৃষ্টি হবে না। বিকেলের দিকে হলেও ছিঁটে-ফোঁটা বৃষ্টি হতে পারে।’

আপাতত তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সীতাকুণ্ড ও কুমিল্লায়।

অন্যদিকে সামুদ্রিক আবহাওয়ার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিম মধ্য-বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অন্ধ্র উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে