মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চিত্রনায়িকা পরীমনির ব্যবহৃত গাড়ি, মোবাইল, ল্যাপটপসহ জব্দ করা অন্যান্য আলামত তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দেন। নায়িকার উপস্থিতিতে এদিন আদালতে প্রতিবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

নায়িকার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পরীমনির মামলায় তার ব্যক্তিগত গাড়ি, আইফোনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মোট ১৬ প্রকারের জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। গাড়িসহ অন্যান্য আলামত ফেরত চেয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর আবেদন করা হয়। আদালত মালিকানা যাচাই করে তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

তার আগে ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হন পরীমনি।

এর আগে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে র‌্যাব। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া

পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ আগস্ট পরীমনিকে চারদিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।

পরে ১৩ আগস্ট পরীমনির জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল।
 আদালতের আদেশে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রিজনভ্যানে করে পরীমনিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই কারাগার থেকে গত ১৯ আগস্ট তৃতীয় দফায় পরীমনিকে একদিনের রিমান্ডে ঢাকায় নেওয়া হয়। রিমান্ড শেষে ২১ আগস্ট পুনরায় পরীমনিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

SO/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে