নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। এ বছর অনুকুল আবহওয়া আর গত বছর লাভ বেশী হওয়ার ফলে কৃষকরা আলু চাষে ঝুকে পড়েছেন।
উপজেলার বাহাগিলি, নিতাই, পুঁটিমারী, বড়ভিটা, মাগুড়াসহ অন্যান্য ইউনিয়ন গুলো ঘুরে দেখা যায় এসব এলাকায় উচু জমিতে আগাম জাতের হাইব্রীড ও চায়না ধান লাগানো হয়েছিল ধান কাটা-মাড়াই শেষ পর্যায়,এখন চলছে আগাম আলু লাগানোর কাজ। জমি তৈরী সহ সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকেরা। বিভিন্ন জাতের আলুর বীজ সংরক্ষন করলেও আগাম আলু চাষের জন্য সেভেন জাতের আলু লাগানো হচ্ছে। অন্যান্য জাতের আলুর বীজ ৭০/৭৫ দিন সময় লাগলেও সেভেন জাতের আলু ৫৫/৬০দিনের মধ্যে উত্তোলণ করে বাজার জাত করা সম্ভব বলে জানিয়েন স্থানীয় কৃষক।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে এখন পর্যন্ত আলু চাষের কোন লক্ষ্যমাত্রা পাওয়া যায় নাই, তবে এলাকার কৃষক ইতো-মধ্যে ২০/২৫ হেক্টর জমিতে আলু লাগিয়েছে বলে মাঠ পরিদর্শন দেখা গেছে। কিন্তু সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্যের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশী জমিতে আলু লাগানো হয়েছে। বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন ২ একর জমিতে সেভেন জাতের আলু লাগিয়েছেন,তিনি জানান গতবার আগাম ধান কাটার পর এক একর জমিতে সেভেন জাতের আলু চাষ করে তিনি দ্বিগুন লাভবান হয়েছেন,যে কারনে তিনি এবার দ্বিগুন জমিতে সেভেন জাতের আগাম আলু লাগিয়েছেন। একই গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান গত মৌসুমে তিনি ৫ একর জমিতে সেভেন জাতের আলু চাষ করে দ্বিগুন লাভ করেন, তাই এবারেও তিনি ৬ একর জমিতে আগাম আলু লাগিয়েছেন। নিতাই ইউনিয়নের বাড়িমধুপুর গ্রামের কৃষক আবুল হাশেম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান এলাকার মাটি বেলে-দোঁআশ হওয়ার ফলে ভারি বৃষ্টিপাত হলেও সঠিক পরিচর্যা করলে আলু ফসলের কোন ক্ষতি হয়না। তাই আগাম জাতের আলু চাষে বড় ধরনের কোন ক্ষতির ভয় থাকেনা। মাগুড়া ইউনিয়নের তালপাড়া গ্রামের কৃষক নাইমুল হক, লোয়াব আলী ও মাগুড়া ফুলেরঘাট গ্রামের কৃষক রহিদুল হক জানান এবারে আগাম জাতের আলু লাগানোর জন্য জমিতে সার প্রয়োগের কাজ চলছে দু-একদিনের মধ্যে আলু লাগানো হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে