মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ “কীর্তিমানের মৃত্যু নেই” ১৯৩৫ সালের ১০মে থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত একজন সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ ব্যক্তি হয়ে উঠার গল্প যাকে নিয়ে মানানসই তিনি হলেন কোম্পানি সাহেব নামে পরিচিত মরহুম আলহাজ্ব মো. ছিদ্দিক মিয়া। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) এই মহান ব্যক্তির ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী।

যিনি নিজের মেধা,পরিশ্রম, আর ধৈর্যকে এক করে কাজে লাগিয়ে তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন আলম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ নামে দেশের সুনামধন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান। যা আজো সগৌরবে সুনামের সহিত ব্যবসা করে যাচ্ছে দেশের সর্বস্তরে। শুধু তাই নয় কর প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে জোগান দিয়ে যাচ্ছে এখনো।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. শরীফুল আলম এর পিতা আলম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব মো. ছিদ্দিক মিয়া তাঁর নিজ জন্মভূমি কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় মানবিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন মৃত্যুর আগ প্রর্যন্ত। নিজ জন্মভূমি কুলিয়ারচরে গড়ে তুলেছিলেন বহু স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা। দ্বায়িত্ব পালন করেছেন কুলিয়ারচর সরকারী কলেজ পরিচালনা পর্ষদে। সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক সংগঠনের। সব সময় চেষ্টা করেছেন গরীব, অসহায়, মানুষের পাশে থেকে প্রতিষ্ঠান ও মানুষের কল্যাণে কিছু করার জন্য। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি চালু করেন কুলিয়ারচর বাজারে “অঙ্গীকার সংসদ” নামে একটি সংগঠন। এ সংগঠনে ব্যবস্থাপনায় প্রতি শুক্রবার উনার পিতা মরহুম আ. জলিল ভূইয়া ফ্রি ক্লিনিক থেকে অসুস্থ রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা ও বিনা মূল্যে ঔষধ বিতরণ কর্মসূচি যা আজো চলমান। তেমনি ভাবে চালু করেন, অসহায়, অসুস্থ, কন্যাদায়গ্রস্থ পিতাকে আর্তিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা। যা আজো উনার রেখে যাওয়া সন্তানগন চলমান রেখেছেন।

মরহুম আলহাজ্ব মো. ছিদ্দিক মিয়া ছিলেন দেশ বরেণ্য ব্যবসায়ী। দীর্ঘ জীবনে তিনি জনকল্যাণে মহান লক্ষ্য নিয়ে মানুষের সেবা করতেন বলেই তিনি এলাকাবাসীর নিকট ছিলেন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও পরম আপনজন। তিনি এলাকার যেকোন সমস্যা সমাধানের জন্য সবসময় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতেন। যা আজীবন কুলিয়ারচরবাসী মনে রাখবেন এবং চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে সকলের হৃদয়ে।

মরহুম আলহাজ্ব মো. ছিদ্দিক মিয়া ব্যক্তি জীবনে ছিলেন ন্যায়পরায়ণ। সেই হিসেবে উনার সুখ্যাতি ছিলো সর্বমহলে। তিনি ছিলেন একজন সৎ কর্তব্যপরায়ণ এবং আদর্শ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি।

দেশের প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যায় ও যে কোন দূর্যোগের সময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করতেন ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন মানব কল্যাণে, যা ছিলো বিরল।

গত ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুলিয়ারচর বাসীকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।

মহামারী করোনা পরিস্থিতির কারনে মরহুম আলহাজ্ব মো. ছিদ্দিক মিয়া সাহেবের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বড় আকারে কোন দোয়া মাহফিলের আয়োজন করার উদ্যোগ না নিতে পারলেও তাঁর আত্মীয় স্বজন ও হিতা কাংখিরা দেশবাসীর নিকট ওনার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া প্রার্থনা করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে