ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে আইসিটি কার্যক্রমকে উন্নত ও সহজতরকরণ এবং স্বল্প খরচে প্রান্তিক জনগণের কাছে সেবা পৌঁছানোর জন্য সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নত সেবাদানের জন্য উচ্চতর দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজে নিয়োজিত সিভিল সার্ভিসের সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন মেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘জনগণকে সহজে ও দ্রুত সেবা প্রদানের জন্য প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের প্রয়োগ, বিভিন্ন সেক্টরে উদ্ভাবনমূলক ও লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনপ্রশাসন পদক প্রদানের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের প্রণোদনা দানের বিষয়টিও জড়িত। ইতোমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বেতনভাতা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে যাতে তাঁরা সম্মানের সঙ্গে জীবনধারণ করতে পারেন।
তিনি বলেন, পুরস্কার প্রবর্তনের ফলে সরকারি কর্মচারীগণ আগামী দিনগুলোতে আরো উৎসাহ নিয়ে কাজ করবেন এবং বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের আরো দক্ষ ও উপযোগী করে গড়ে তুলবেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দক্ষ, কার্যকর, ফলপ্রসূ, আর্থিক সাশ্রয়ী ও সময়োপযোগী প্রশাসনিক ব্যবস্থা টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি। বাংলাদেশে সিভিল প্রশাসন সরকারের নির্বাহী অঙ্গ হিসেবে দেশের জনগণের সেবা ও কল্যাণে আন্তরিকভাবে নিয়োজিত।

শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হবে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ সর্বোচ্চ মেধা, শ্রম ও কর্মতৎপরতার স্বাক্ষর রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ পালন করায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং দিবসটির সাফল্য কামনা করেন।একই সাথে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো ‘জনপ্রশাসন পদক’ প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত এবং ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৭’ পদকের জন্য যাঁরা মনোনীত হয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে