আন্তর্জাতিক রিপোর্ট : হলিউডের তারকা অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। সম্প্রতি তার পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদার’ সিনেমাটি আসছে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শন হতে যাচ্ছে।

কম্বোডিয়ার রাজনৈতিক গণহত্যা ও যুদ্ধের ইতিহাস কেন্দ্র করে নির্মিত এ চলচ্চিত্রের চিত্রায়ণ হয়েছে কম্বোডিয়াতেই। আর এতে অভিনয়কারীদের মধ্যে রয়েছে কম্বোডিয়ার শিশুশিল্পীরা।

এবার জোলিসহ তার এ সিনেমার নির্মাণকারী দলকে নিয়ে উঠল নতুন এক প্রশ্ন। সেটি হলো, সিনেমার অডিশনের সময় নাকি তারা এমন এক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে দরিদ্র শিশুদের টাকা দেয়া হতো এবং তার পরই তাদের কাছ থেকে তা কেড়ে নেয়া হতো।

ভ্যানিটি ফেয়ারে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ফার্স্ট দে কিলড মাই ফাদারের জন্য অভিনেতা নির্বাচনের সময় অন্যতম প্রক্রিয়া হিসেবে এর শিশু অভিনেতার হাতে টাকা ধরিয়ে দেয়া হয়। এর পরই আবার তা কেড়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় যখন শিশুটির তীব্র মনঃকষ্টের বহিঃপ্রকাশ ঘটে, তার পরই তাকে অভিনয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।

তাতে আরো বলা হয়, লৌং উং যার স্মৃতিচারণ করে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে, তার চরিত্রে রূপদানকারী শিশু অভিনেতার জন্য জোলি অনাথ আশ্রম, সার্কাস ও বস্তির স্কুলগুলোয়ও গিয়েছিলেন, যেখানে সেই শিশুরা কঠিন অবস্থার মধ্যে দিনাতিপাত করছিল।

অন্যদিকে ‘দ্য হাফিংটন পোস্ট’-এ দেয়া এক বক্তব্যে ভ্যানিটি ফেয়ারের এমন প্রতিবেদন প্রসঙ্গে জোলি বলেন, ‘এ সিনেমার সেটে যেন শিশুদের সঠিকভাবে দেখভাল করা হয়, সেজন্য সব ধরনের পূর্বসতর্কতাই নেয়া হয়েছিল। অডিশন থেকে শুরু করে সিনেমা নির্মাণ শেষ হওয়া পর্যন্ত শিশুদের সুরক্ষা, স্বাচ্ছন্দ্য ও কুশলের জন্য সব উপায়ই অবলম্বন করা হয়েছে।

সেখানে শিশুদের মা-বাবা, অভিভাবক, এমন এনজিও— যাদের কাজই শিশুদের যত্ন করা তারা সারাক্ষণই ছিলেন, যেন সবাই তাদের যা প্রয়োজন তা পায় এবং সবার উপরে এটা নিশ্চিত করতে যে তারা যেন তাদের দেশের ইতিহাসের এমন কষ্টদায়ক একটা অংশের পুনর্নির্মাণে অংশগ্রহণের কারণে কষ্ট না পায়। ’

এরপর প্রতিবেদনটির দাবি নাকচ করে দিয়ে এ অভিনেত্রী জানান, সিনেমায় অভিনয়ের একটি অনুশীলনকে তারা এমনভাবে উপস্থাপন করায় মর্মাহত তিনি।

ব/দ/প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে