বাংলাদেশে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে ১৯ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একদিনেই ব্যবসায়ীরা ১০ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের (আইপি) জন্য আবেদন করেছেন। ব্যবসায়ীরা ভারতের বিকল্প হিসেবে অন্য ৫ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে চাইছেন।

চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের তথ্যমতে, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা ভারতের বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমার, তুরস্ক ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করবেন। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪টি অনুমতিপত্র বা আইপির মাধ্যমে ১৯ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নিয়েছে— এরকম প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান থেকে খাতুনগঞ্জের আবুল বাশার অ্যান্ড সন্স ৫০০ মেট্রিক টন, রেড লিংক মিশর থেকে ১ হাজার মেট্রিক টন, পাকিস্তান থেকে এএস করপোরেশন ৫০১ মেট্রিক টন, মিয়ানমার থেকে এসএন ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ৫০০ মেট্রিক টন, এএইচ এন্টারপ্রাইজ চীন থেকে ৫০০ মেট্রিক টন ও মিয়ানমার থেকে ৫০০ মেট্রিক টন, চীন থেকে এ মোক্তার ট্রেডিং ৫০০ মেট্রিক টন, মিয়ানমার থেকে খাতুনগঞ্জ ট্রেডিং ৫০০ মেট্রিক টন, পাকিস্তান থেকে এস ইসলাম ট্রেডিং ৪০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করছেন। এর সঙ্গে আরও আবেদন যোগ হচ্ছে। অন্তত ২৫ জন ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় সব ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছেন। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একদিনেই ১০ হাজার ৭৪২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্রের (আইপি) জন্য আবেদন এসেছে। এ মাসের মধ্যে ৫৪টি আইপির বিপরীতে ১৯ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খোলা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভারতের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকে দেশের বাজারে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ কেজিতে প্রায় ৩০ টাকা বেড়ে যায়। তবে দুইদিন আগে খাতুনগঞ্জে যেসব পেঁয়াজ পাইকারিতে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এখন সেসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে খাতুনগঞ্জের বাজারে। এখন পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়।

BD/P

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে