জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক ভূয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কুরুচিকর পোস্ট দিয়ে মানহানির অপচেষ্টা চালানোসহ বানোয়াট অভিযোগ এনে সমাজে হেয় করার অপতৎপরতায় লিপ্ত মাদকাসক্ত এক যুবক। তারই ধারাবাহিকতায় এবার হত্যার হুমকী দেয়া হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পুকে।

বেআইনীভাবে মামার সাথে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জের ধরে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও আক্রশমূূূলক এই অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় সাধারণ ডায়েরী করে অনভিপ্রেত এহেন হয়রানী বন্ধে প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীদের সহযোগীতা কামনাা করেছেন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার ওই কাউন্সিলর।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুর ২ টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি। এসময় এরশাদ হোসেন পাপ্পু বলেন, আমি ১১ নং ওয়ার্ডের বার বার নির্বাচিত কাউন্সিলরের পাশাপাশি বাংলাদেশ লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালক ও সৈয়দপুর সাংগঠনিক সভাপতি, নীলফামারী জেলা মাইক্রোবাস, পিকআপ ও কার মালিক সমিতির সভাপতিসহ বিভিন্ন সামাজিক, মানবাধিকার ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে জড়িত।

কিছুদিন হলো সৈয়দপুর শহরের ১৫ নং ওয়ার্ডের মিস্ত্রীপাড়া এলাকার মৃত নাদিম আশরাফীর ছেলে মো. সালেহিন ইকবাল (২৮)
তার মামা ১১ নং ওয়ার্ডের বানীচাঁদ সড়কের আফতাব আলমের সাথে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য লেখালেখির করছে।

সে তার ফেসবুক আইডি saleheen Iqbal যার লিংক https:://www.facebook.com.saleheeniqbal.92 তে লেখা ওইসব স্ট্যাটাসে তার মামার পাশাপাশি আমাকে জড়িয়ে আক্রোশমুলক আপত্তিকর মন্তব্য করে চলেছে।
তার অভিযোগ আমি তার মামাকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগীতা করছি মর্মে দোষারোপ করছে।

আমার কারণে সে তার প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তার এমন অভিযোগ সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সে অত্যন্ত অশ্লীল কুরুচিকর বিভ্রান্তিমুলক মন্তব্যের সাথে ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী পোস্ট পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময়ে তার ফেসবুকে আপলোড করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ জুন শনিবার আনুমানিক ১২ টার দিকে আমাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে আপত্তিকর ভিত্তিহীন কথাবার্তা লিখে আপলোড করেছে। এভাবে বর্তমানে সে নিজে এবং বিভিন্নজনের মাধ্যমে ফেসবুকে লেখাসহ প্রকাশ্যে ও গোপনে আমাকে মারপিট করাসহ খুন করার মত বড় ধরনের ক্ষতি করার ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকী দিচ্ছে।

এমতাবস্থায় তার এহেন হুমকির প্রেক্ষিতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। কারন সালেহিন ইকবাল মাদকাসক্ত ও দূর্ধর্ষ প্রকৃতির বখাটে যুবক। ইতোপূর্বেও সে অনাকাঙ্ক্ষিত অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নারী নির্যাতন ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

কাউন্সিলর আরও বলেন, এধরনের মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই আশঙ্কা করছি ভবিষ্যতে সে তার অসৎ উদ্দেশ্য সাধনে ফেসবুক আইডিতে যে কোন অনৈতিক পোস্ট আপলোড করে সম্মানের বা অন্যভাবে আমার জান ও মালের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

তাই প্রাথমিক আইনী ব্যবস্থা হিসেবে রবিবার (১২ জুন) একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। যার নং ৭৯৭। বিষয়টি মিডিয়ায় তুলে ধরার মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি। দ্রুত তদন্ত পুর্বক এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান তিনি।

এব্যাপারে সালেহিন ইকবালের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে