উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের প্রতিটি উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত। বন্যায় তলিয়ে গেছে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকা। ফলে সারাদেশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেখানে মোবাইল ফোনেরও নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না। রয়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটও। এমন অবস্থায় জেলার ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় বন্যাকবলিতদের উদ্ধারে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, এটা ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞাত। এমনটা আগে কখনো ঘটেনি। পরিস্থিতি মোকাববিলায় আমরা করছি। সরকার মানুষের পাশে আছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বন্যাকবলিতদের পাশে থাকার নির্দেশনা রয়েছে। দুপুর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোইনঘাট এবং সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা সেনাবাহিনী উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।

এর আগে ১৫ জুন থেকে উজান থেকে নামতে থাকে পাহাড়ি ঢল। শুক্রবার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। জেলার প্রায় সব উপজেলা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্লাবিত হয়েছে। জেলা সদরের সঙ্গে পাঁচটি উপজেলার সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, দ্বিতীয় দফার বন্যায় মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। আগের দফার চেয়ে এখন পানির পরিমাণ অনেক বেশি। সুনামগঞ্জ শহরের প্রায় প্রতিটি বাতাসেই পানি ঢুকেছে। এর আগে এত ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানিয়েছেন অকে বাসিন্দা।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে