সাম্প্রতিক সংবাদ

সিরাজগঞ্জে বাধের ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শনে পানি সম্পদমন্ত্রী


সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকারঃ সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাহুকায় নবনির্মিত রিং বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া এলাকা পরিদর্শন করে পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সিরাজগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, এ অঞ্চলের মানুষ নিশ্চিত হতে পারেন ,এ বছরই সিরাজগঞ্জ জেলা ভাঙ্গন ও বন্যা মুক্ত হবে। বন্যায় যমুনাপারের আশপাশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় এবং নিরাপদে থাকতে পারে, সরকার সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এ এলাকার এমপি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকী করছেন। আর যারা নদীতীরে এবং বাঁধের অভ্যন্তরে বসবাস করে বন্যার সময় তাদের কিছুটা সমস্যা সইতে হবে। এই এলাকার মানুষকে নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় সিমলা থেকে খুদবান্দি পর্যন্ত এলাকায় সাড়ে ৪ শত কোটি টাকা ব্যয়ে সাত কিঃমিঃ স্থায়ী বাঁধ নির্মানের একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।

একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি এ বছরই অনুমোদনের পর প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হবে। পাশাপাশি ভাঙ্গনকৃত রিং বাধ ও তৎসংলগ্ন পুরাতন নদীতীর সংরক্ষন বাঁধও আরও শক্তিশালী করা হবে। আর বাঁধ নির্মানে পাউবো’র যদি কোন গাফিলতি থাকে সেটি বিভাগীয় ভাবে খতিয়ে দেখা হবে। ভাঙ্গন কবলিত বাহুকায় সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ মন্ত্রী এ সব কথা বলেছেন।চৌহালী উপজেলা রক্ষা বাধের ভাঙ্গন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,

ওই বাধ রক্ষায় একটি বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে। নদীতে পানি শুকানোর পর শুস্ক মৌসুমে প্রকল্পটির পূর্ণনির্মান কাজ শুরু করা হবে।পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীরপ্রতিক, মন্ত্রনালয়ে অতিরিক্ত মহা-পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন, রাজশাহী জোনের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, বগুড়ার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল শীল, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম,

সিরাজগঞ্জ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, আওয়ামীলীগ সহসভাপতি এ্যাড: কে,এম হোসেন আলী হাসান শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী ইসহাক আলী, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান দুদু উপস্থিত ছিলেন। ৪দিন চেষ্টার পর বাহুকা এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ রিং বাঁধের ভাঙ্গা অংশে পূণনির্মাণ করে রবিবার সন্ধ্যায় পানি প্রবাহ বন্ধ করেছে পাউবো ও সেনাবাহিনীর সদস্যগণ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঁধটির ২০ মিটার এলাকা যমুনার পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে মুহুর্তের মধ্যেই তা লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। এরপর রাত ২টা থেকে পাউবো এবং সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোরের ৪৫ সদস্যের একটি টিম ভাঙ্গন স্থানে বাশের পাইলিং, বালি ভর্তি জিওব্যাগ ও সিনথেটিক ব্যাগ ব্যবহার করে ভাঙ্গন স্থান নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেন।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
shared on wplocker.com