আন্তর্জাতিক রিপোর্ট : ঘণ্টা তিনেকের অস্ত্রোপচারে সাতটি সুচ বেরোল ভারতের পুরুলিয়ার নির্যাতিতা শিশুর ছোট্ট শরীর থেকে। নাভির উপরে আড়াআড়ি প্রায় ছ’ইঞ্চি কেটে যকৃত, অন্ত্র, অগ্ন্যাশয় থেকে সুচগুলো বার করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি সুচ (৩টি) বেঁধানো ছিল যকৃতে। সুচগুলো ইঞ্চি চারেক লম্বা। বেশ কিছু দিন আগে বাচ্চাটির শরীরে ঢোকানো হয়েছে। বিভিন্ন অঙ্গে বিঁধে থাকলেও সুচগুলো শরীরের ভিতরে কোনও রক্তক্ষরণ ঘটায়নি।

খবর পেয়ে হাঁফ ছেড়েছে বাচ্চাটির উপরে অত্যাচার চালানোয় অভিযুক্ত সনাতন গোস্বামীর ছেলেদের পরিবার। অভিযুক্তের দুই পুত্রবধূ-রিঙ্কি এবং রিনা জানান, বাচ্চাটা সেরে উঠুক, এটুকুই চাওয়া।

ওই হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটিকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। পেডিয়াট্রিক-সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ঋষভদেব পাত্রের নেতৃত্বে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। বেলা দেড়টা নাগাদ চিকিৎসকেরা মেয়েটিকে অজ্ঞান করে নাভির উপরে আড়াআড়ি প্রায় ছ’ইঞ্চি কেটে যকৃত, অন্ত্র, অগ্ন্যাশয় ও যোনি থেকে সুচগুলো বের করা হয়।

পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে জ্বর, সর্দি, কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করানো হয় সাড়ে তিন বছরের মেয়েটিকে। পরীক্ষা করতে গিয়ে চিকিৎসকরা দেখেন, শরীরে বহু ক্ষত। মেয়েটির মা এই ব্যাপারে মুখ না খোলায় গড়া হয় মেডিকেল বোর্ড। এক্স-রে প্লেটে ধরা পড়ে সুচের অস্তিত্ব। শনিবার মেয়েটিকে স্থানীয় এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয়। সূত্র: আনন্দবাজার

ব/দ/প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে