ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি মৌসুমে শরীয়তপুর জেলায় আট হাজার চারশ’ ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ২শ’ ৭৫ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ধানের বাজারমূল্য নিশ্চিত হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন আবাদ হবে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তার ফলে গত মৌসুমে জেলার ৬ উপজেলার কৃষকরা উচ্চ ফলনশীন জাতের রোপা আমন আবাদ করে লাভবান হওয়ায় রোপা আমন আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটি গ্রাম পর্যায়ে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে রোপা আমন আবাদ কৌশল ও নিয়মমাফিক পরিচর্যা বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করায় উৎপাদন খরচও কমে আসছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের চরযাদবপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন বলেন, গতবার ১২০ শতক জমিতে রোপা আমন আবাদ করে ভাল ফলন ও দাম পাওয়ায় এবার ২০০ শতক জমিতে উফশী জাতের রোপা আমন আবাদ করেছি। গতবার প্রতি শতকে ১৫ কেজি করে ধান পেয়েছিলাম। এবার আবহাওয়া রোপা আমনের অনুকূলে থাকায় ও কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ মতো আবাদ করায় প্রতি শতকে ২৫-৩০ কেজি করে ফলন পাব বলে আশা করছি।
আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সিকদার বাসস’কে জানান, মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের ব্যাপক উদ্বুদ্ধকরণের ফলে এবার এই ইউনিয়নে ৪ গুণেরও বেশি রোপা আমন আবাদ হবে। গতবার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নে ৭৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছিল। ধানের বাজারমূল্য নিশ্চিত হওয়ায় কৃষকরা আগের হতাশা কাটিয়ে ব্যাপক হারে ধানের আবাদ করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শরীয়তপুরের উপ-পরিচালক মো. রিফাতুল হোসাইন জানান, ধানের স্থিতিশীল বাজারমূল্যের কারণে জেলার ধান চাষিরা বেশ খুশী। তারা ধান আবাদে গত বারের কম লাভের হতাশা কাটিয়ে এখন নতুন উদ্যমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েওে বেশি জমিতে রোপা আমন আবাদ করছেন। ইতোমধ্যে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। রোপা আমন আবাদ বৃদ্ধির ফলে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবেও বেশ লাভবান হবেন বলে আমরা আশাবাদি।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে