আন্তর্জাতিক রিপোর্ট : মনে হচ্ছে, শ্রীলঙ্কার চাপেই ভারত। অথচ উল্টো। গল টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার চেয়ে ৪৯৮ রানে এগিয়ে ভারত। তবুও ইনিংস ঘোষণা করেনি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। হারের ভয়ে? হতেও তো পারে! শুক্রবার প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ২৯১ রানে অলআউট হলে ৩০৯ রানের লিড পায় ভারত। তবুও শ্রীলঙ্কাকে ফলো অন করাননি কোহলি।

অবশ্য বড় লিড পেয়েও ফলো অন না করানোটা এখন আর চমক জাগানিয়া সিদ্ধান্ত নয়। অনেক অধিনায়কই বিশেষ করে ভাঙা উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করতে চান না। উল্টো বিপদে পড়তে হয়। কোহলির তো এমন বাজে অভিজ্ঞতা মনে থাকারই কথা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই আনুষ্ঠানিক কোনো সফরে এসেছিলেন টেস্ট অধিনায়ক কোহলি।

দুই বছর আগে। গলেই হয়েছিল প্রথম টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানের লিড বলছিল, অধিনায়ক পর্বে দুর্দান্ত এক সূচনা পাচ্ছেন কোহলি। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে রঙ্গনা হেরাথের বিষে নীল হলো ভারত।

৬৩ রানে হারতে হয়েছিল কোহলি-বাহিনীকে। এবার গল টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার পর স্কোর বলছে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৯৮ রানে এগিয়ে গেছে ভারত। তারপরও ইনিংস ঘোষণা আসেনি ভারতের কাছ থেকে। এমন কোনো ইঙ্গিত কখনো দেখা যায়নি ভারতের ব্যাটিংয়েও। ম্যাচের আরও দুই দিন বাকি আছে, সে কারণেই হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারত অধিনায়ক।

গলে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে না চাওয়ার ইচ্ছেটাও ভূমিকা রাখার কথা ভালোভাবেই। গলের পঞ্চম দিনের উইকেটে হেরাথের স্পিনের পরীক্ষা কে দিতে চায়? ইনিংস ঘোষণা না করার একটা ব্যক্তিগত সুবিধা পাচ্ছেন কোহলিও। অপরাজিত আছেন ৭৬ রানে, ১৭তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাতছানি দিচ্ছে।

এর আগে দিলরুয়ান পেরেরার সর্বোচ্চ চেষ্টাতেও তিন শ পার করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (৮৩) আউট হওয়ার পর যা একটু প্রতিরোধ এই অলরাউন্ডারই করেছেন। কিন্তু উল্টো দিক থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি। ২৯১ রানেই প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেছে শ্রীলঙ্কার। ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন দিলরুয়ান।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভারতেরও ভালো হয়নি। আগের ইনিংসের দুই সেঞ্চুরিয়ান শিখর ধাওয়ান ও চেতেশ্বর পূজারা ফিরেছেন বেশ দ্রুত। কিন্তু অভিনব মুকুন্দ ও কোহলির তৃতীয় উইকেট জুটি সে ধাক্কা সামলে নিয়েছে। ১৩৩ রানের জুটি গড়ে মুকুন্দ (৮১) আউট হয়ে যেতেই দিনের খেলা শেষ করে দেওয়া হয়েছে।

প/দ/ন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে