modhumoti_bridge1457161009

বিডি নীয়ালা নিউজ(৩ই মার্চ১৬)-মাগুরা প্রতিবেদনঃ মাগুরাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। জেলার মহম্মদপুর উপজেলার পূর্বপাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মার শাখা মধুমতির নদীর উপর দিয়ে শেখ হাসিনা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতলয়ে।

ইতিমধ্যে সেতুর কাজ পঞ্চাশভাগ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই চলতি বছরের শেষ দিকে সেতু সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করছেন নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা।

বহুল কাঙ্খিত ও প্রতিক্ষিত সেতুর নির্মাণ শেষ হলে মাগুরা-নড়াইলের সাথে প্রতিবেশি ফরিদপুরের সাথে মেলবন্ধন তৈরি হবে। ‘শেখ হাসিনা সেতু’ মধুমতি নদীর দুই পারের লাখ লাখ মানুষের যোগাযোগ ও কর্মসংস্থানসহ জীবনমান বৃদ্ধির আশার সঞ্চার হবে।

এলজিইডি সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে মধুমতি নদীর বাঁশতলা খেয়া ঘাট এলাকায় ৬০০ দশমিক ৭০ মিটার পিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন মাগুরা -২ আসনের সাংসদ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার। ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর পায় কার্যাদেশ পায় ম্যাক্স-রেনকিন নামের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাটি পরীক্ষা ও মার্চ মাসে সেতুর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৫৯ কোটি ৯০ লাখ ৩৪ হাজার ৭০৫ টাকা ২৫ পয়সা ব্যয়ে কার্যাদেশের ১৮ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।

সূত্র জানায়, সেতুরমোট দৈর্ঘ্য ৬০০ দশমিক ৭০ মিটার, প্রস্থ ৯ দশমি ৮০ মিটার। ১৫০টি পাইল, ১৫টি স্প্যান, ৭৫টি গার্ডার রয়েছে। ইতিমধ্যে সেতুর ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই সেতুর কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন নির্মাণ সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা।

এইসেতু ঘিরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে উঠবে। গড়াই,মধুমতি, কুমার, চিত্রা, নবগঙ্গা, ফটকী ও মুচিখালী নদী বিধৌত জনপদ মাগুরা। স্বাধীনতার পর থেকে চরম উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার অবহেলিত এই জনপদ। নদীকেন্দ্রিক যোগাযগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ‘শেখ হাসিনাসেতু’ খুলে দেবে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। বদলে যাবে মাগুরা। তাই নির্মিতব্য সেতুকে ঘিরে আশা-আকাক্সক্ষা ও প্রবল উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের মনে। এখন শুধু মধুমতির দুই তীরের মতো স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে মেলানোর জন্য অপেক্ষা।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে