ডেস্ক রিপোর্ট : জেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় এই প্রথমবারের মত যুক্ত করা হচ্ছে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে নৌ যানটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। প্রতি ঘন্টায় ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবে এটি। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ্যম্বুলেন্সটি মনপুরায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। আর এতে দারুন খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাহমুদুর রশিদ আজ বাসস’কে জানান, এই নৌ-যানটি চালু হলে মুমর্ষ রোগীদের উপজেলা হাসপাতাল থেকে ভোলা সদর, বরিশাল-ঢাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে নেওয়া যাবে। সবচে বেশি উপকৃত হবে গর্ভবতী মায়েরা। চিকিৎসার অভাবে আর কেউ প্রাণ হারাবেনা এই অঞ্চলে।

তিনি বলেন, স্বল্প-পরিসরের এই নৌ-যানটি ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে গেলেই এটি মনপুরায় এনে চালু করা হবে বলে জানান তিনি।লক্ষাধিক জনবসতিপূর্ণ দ¦ীপ উপজেলা মনপুরায় যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তবে তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। ঢাকাগামী একটি লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত নৌকাই ছিলো একমাত্র ভরসা। সবচে বেশি ভোগান্তি হতো বর্ষা মৌসুমে। কারণ এই সময়টাতে মেঘনা উত্তাল থাকায় প্রায়ই ঘটত দুর্ঘটনা। তাই বিনা চিকিৎসায় প্রাণ হরাতে হতো এখানকার বাসিন্দাদের। অবশেষে নৌ-অ্যাম্বুলেন্স চালু হলে সেই দুর্ভোগ কেটে যাবে মানুষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এটি পরিবহনে ঘন্টায় মাত্র ৪ লিটার ডিজেল প্রয়োজন হবে। অ্যাম্বুলেন্সটি মনপুরা উপজেলা সদর থেকে মূল ভুখন্ড তজুমুদ্দিন ও চরফ্যসন উপজেলায় আসতে সময় নেমে এক থেকে সোয়া ঘন্টা। এতে করে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হারও কমবে এই উপজেলায়।

স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক আলাউদ্দিন আলী বলেন, মনপুরা একটি বিচ্ছিন্ন দূর্গম এলাকা। বর্ষা মৌসম এলেই এখানকার বান্দিারা আতংকের মধ্যে থাকেন। কারণ নদী-সাগরের প্রতিকুলতার সাথে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয় তাদের। বিশেষ করে এই সময় কেউ অসুস্থ হলে তাকে মনপুরার বাইরে চিকিৎসার জন্য নেওয়া ব্যবস্থা ছিলোনা। তাই নৌ-অ্যাম্বুলেন্স চালু হলে স্থানীয় স্বাস্থ্য খাতে আমুল পরিবর্তন আসবে । আর এতে করে মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে