আন্তর্জাতিক রিপোর্ট : ব্রিটেনের পুলিশ বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে চারশোটি এসিড হামলার ঘটনা ঘটেছে ।২০১২ সাল থেকে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত ৫বছরে এ ধরনের হামলা দ্বিগুণ আকার ধারণ করেছে। এর বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে রাজধানী লন্ডনে।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার নর্থ-ইস্ট লন্ডনে এই পদার্থটি দিয়ে ৫জনকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।গতমাসে গাড়ির জানালা দিয়ে এসিড ছোড়ার ঘটনায় মারাত্মকভাবে দগ্ধ হন রেশাম খান এবং জামিল মুখতার। এপ্রিল মাসে ইস্ট লন্ডনে এসিড হামলায় আহত হন ২০ জন।শটিতে এসিড কেনা-বেচা আইনসিদ্ধ। তবে সাম্প্রতিক এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত আইন আরও কঠোর করার দাবি উঠেছে।

ব্রিটেনে সাম্প্রতিক এসিড হামলার প্রেক্ষাপটে সাধারণ মানুষের উদ্বেগ বাড়তে থাকায় এধরনের অপরাধের বিচার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনার কথা বলেছেন ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আম্বার রাড।গত নভেম্বরে ইস্ট লন্ডনে এসিড হামলার শিকার হন রেস্তোরা ব্যবসায়ী ইমরান খান।তিনি বলেন, একদল তরুণ তার সাথে বর্ণবাদী আচরণ করে এবং অর্থ ও খাবার দাবি করে। এরপর গাড়ির ভেতর তার মুখের তরল পদার্থ ঢেলে দেয় তারা। তার আশঙ্কা তিনি হয়তো পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যাবেন।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ ডক্টর সিমোন হার্ডিং বলছেন, এটা একধরনের সহজলভ্য অস্ত্র হিসেবে পরিণত হয়েছে।তার মতে, এসিড নিক্ষেপ হচ্ছে আধিপত্য, ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণের দাপট দেখানোর একটি উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন গ্যাং ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে।তার মতে, সরকারকে এ বিষয়ে তিনটি উদ্যোগ নিতে হবে । প্রথমত, এসিডের সহজলভ্যতা কমানো, দ্বিতীয়ত, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং তৃতীয়ত, মানুষের মধ্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

লন্ডনের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এসিড সারভাইভার্স ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল-এর জাফ শাহ বলেন, এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। তবে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক।তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক হামলার যে গতি তার মানে বিশ্বের মধ্যে মাথাপিছু এসিড হামলার দিক দিয়ে ব্রিটেনেই সবচেয়ে বেশি ঘটনার কথা জানা গেছে”।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে