সাম্প্রতিক সংবাদ

ব্যাংকের স্থিতিশীলতার জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দৃঢ়তা

full_1613102693_1453009155

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৭জানুয়ারি১৬)-ঢাকা প্রতিবেদকঃ ব্যাংকের স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা,দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্ব । পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরোপুরি স্বাধীনতা ও ব্যবস্থাপনার কর্তৃত্ব থাকতে হবে।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ: রিফর্মস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক গোলিটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত দেন।

ওয়ান ব্যাংকের সহায়তায় দ্য ঢাকা ফোরাম (টিডিএফ) এ বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন টিডিএফ’র সদস্য সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূত মাসুদ আজিজ, টিডিএফ’র সদস্য ফারুক সোবহান, অশোক দাস গুপ্ত, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বীরু পক্ষপাল, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল কাইয়ুমসহ সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের পদস্থ ও সাবেক কর্মকর্তারা।

বক্তারা ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরে পরামর্শ দেন। তারা বলেন, আমাদের দেশের বড় সমস্যা; এখানে অনেক বেশি ব্যাংক। তাও আবার বেশিভাগই পরিবারতান্ত্রিক বা রাজনৈতিক। মালিক রাজনীতি করতে পারে, কিন্তু ব্যাংক পরিচালনায় সেটার প্রতিফলন থাকতে পারবে না। ব্যাংকিংয়ের জন্য পেশাদারিত্ব বড় ব্যাপার। ঋণ দেওয়ার সময় রাজনৈতিক বিবেচনার চেয়ে যোগ্যতার প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

বাংলাদেশের রাস্তা নিয়মতান্ত্রিক হলে অর্থনীতিও নিয়মতান্ত্রিক (স্থিতিশীল) হবে। রাস্তায় যে হারে যানজট-অনিয়ম, এভাবে চলতে থাকলে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা থাকবে না, বললেন বক্তারা।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং ডিসিপ্লিনের জন্য শুধু রাজনৈতিক সদিচ্ছা নয়, রাজনৈতিক দৃঢ়তাও থাকতে হবে। রাজনীতির চেয়ে বড় হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা লবিষ্টদের চাপে থাকে, এগুলোর সুযোগ দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, এতোগুলো ব্যাংক, সবাই একই কাজ করে। নতুন নতুন কাজ করতে হবে। খালি ধনীদের ঋণ দিলে হবে না, গরিবদেরও তুলতে হবে। উদ্যোক্তা সৃষ্টি করাও ব্যাংকের দায়িত্ব। বুদ্ধি আছে, এমন লোকদের ধরে উঠিয়ে দিতে হবে। গরিব অল্প টাকাটাও পায় না, আর ধনীরা পেতে পেতে সব নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, চ্যালেঞ্জ আছে, কিন্তু সমাধান অসম্ভব নয়। নন পারফরমিং লোন (এনপিএল) সিন্দাবাদের বুড়োর মতো আমাদের মাথার ওপরে বসে আছে। কতোগুলো অর্থ ঋণ আদালত করে এগুলো কমাতে হবে। ভালো লোকদের পুরস্কার ও খারাপ লোকদের দ্রুত ও দৃশ্যমান শাস্তি দিতে হবে। এজন্য সাহস লাগবে। সবার সহায়তাও পাওয়া যাবে

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

shared on wplocker.com