সিরাজগঞ্জ থেকে,মারুফ সরকার:বিদ্যুতের কালো থাবায় সিরাজগঞ্জবাসী। সারাদেশে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোন খবর না থাকলেও সিরাজগঞ্জ অব্যাহত লোডশেডিং ইতিমধ্যে জনজীবনকে, বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ইদানিং দিনে কমপক্ষে চার/পাঁচবার করে, সিরাজগঞ্জের মানুষও এই লোডশেডিংয়ের কবলে তো পরছেই। রাতেও মানুষের কোন স্বস্তি নেই,

অব্যাহত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে। একেতো প্রচণ্ড গরম। তার উপর বিদ্যুতে এই অব্যবস্থাপনা। জনজীবনে দুর্ভোগ শুধু বাড়িয়ে চলেছে। গতরাতেও প্রায় ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিলো না। বিদ্যুৎ চলে যাওয়া ঘটনা একাধিকবার ঘটছে। মজার ব্যাপার হলোÑএ ব্যাপারে খোঁজ নেয়ার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করেও কাউকে পাওয়া যায় না। কেউ ফোন সহজে, ধরেন না! কেন বার বার বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি এর কারণও আমাদের বোধগম্য নয়। আমার জানা মতে, বর্তমানে দেশে যে বিদ্যুৎ চাহিদা তার তুলনায় অনেক বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ আছে এবং সরকারি হিসেবে এ তথ্য যদি ঠিক হয়Ñতাহলে তো এক্ষেত্রে এমন বিভ্রাটের ঘটনা মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়। আমরা এর সুর্নিদিষ্ট ব্যাখ্যা চাই!

এখন আমরা বিদ্যুৎ বিভাগকেই অগ্রিম টাকা দিয়ে, বিদ্যুৎ সেবা গ্রহণ করছি। যদি চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকে? যদি বিতরণ ব্যবস্থায় কোন ক্রটি থাকেÑযদি সরবরাহে কোন ধরণের অসুবিধা থাকে, তবে তো জনগণকে অবহিত করা উচিত। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইন এমনটি বলে। বিদ্যুতের দুরাবস্থা থেকে পরিত্রাণ দেবার জন্য আমরা এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সমস্ত ব্যাখ্যা আশা করছি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে