ডেস্ক রিপোর্ট : কবি, কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করা হয়নি, বরং তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।রাত ১ টার পর খুলনায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ একথা বলেন।তিনি বলেন, উদ্ধারের সময় মি. মজহারের কাছে একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে যাতে দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্র ছিল। তিনি বলেন, “আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বেড়াতে গেলে যেমন প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে নিই, তার ব্যাগের ভেতর সেসব জিনিস প্রমাণ করে যে তিনি স্বেচ্ছায় গিয়েছেন”।

এর আগে ফরহাদ মজহারকে যশোর জেলার নোয়াপাড়ায় ঢাকাগামী একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয়।উদ্ধারের পর তাকে প্রথমে যশোরের অভয়নগর থানা এবং পরবর্তীতে খুলনার ফুলতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তিনি ফুলতলাতেই রয়েছেন।সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৬ এর অধিনায়ক খন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, এরপর তাকে খুলনা থেকে ঢাকার আদাবরে নিয়ে যাওয়া হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে আদাবর থানাতেই মি. মজহারকে অপহরণের অভিযোগ করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিনিধিদল এরই মধ্যে খুলনায় রয়েছেন বলে জানান র‍্যাব কর্মকর্তা।মূলত: মি. মজহারের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করেই তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।পুলিশের ডিআইজি মি. আহমেদ জানান, ফরহাদ মজহার ফোনে কথা বলার পরপরই মোবাইলটি বন্ধ করে রাখছিলেন। যেকারণে তাকে খুঁজে পেতে তাদের সমস্যা হচ্ছিল।মি. মজহার বর্তমানে বিশ্রামে রয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।এর আগে মি. মজহারের খোঁজে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় র‍্যাব।

সেখানকার একটি রেস্তোরায় তিনি রাতের খাবারও খেয়েছেন বলে জানায় র‍্যাব। এরপর তিনি ঢাকাগামী হানিফ পরিবহণের একটি বাসে ওঠেন।র‍্যাবের একটি টহলদল যশোরের নোয়াপাড়ার ঐ বাস আটকে তল্লাশি করলে সেই বাস থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।পুলিশ বলছে, উদ্ধারের সময় মি. মজহার একাই ছিলেন। তার আচরণেরও কিছু ‘অস্বাভাবিকতা’ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

মি. মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার বিবিসিকে বলেন, তাকেও র‍্যাব থেকে তার স্বামীকে উদ্ধারের খবর জানানো হয়। তিনি জানান, তার সাথে মোবাইল ফোনে মি. মজহারের কথাও বলিয়ে দেয়া হয়েছে, কিন্তু গলা শুনে তার স্বামীকে বেশ ক্লান্ত এবং হতচকিত মনে হয়েছে।ফরহাদ মজহারকে সোমবার ভোর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিল তার পরিবার।ঢাকার শ্যামলীর নিজের বাসা থেকে ভোর পাঁচটার দিকে একটা ফোন পেয়ে বের হয়ে যান ফরহাদ মজহার।এরপর তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একাধিকবার মুক্তিপণও দাবী করা হয়েছিল বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বি/বি/সি/এস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে