জয়নাল আবেদীন হিরো, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ ইট ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা পরিবর্তন করে দ্রুত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রদান এবং জ্বালানী কয়লার সংকট দূরীকরণের দাবিতে নীলফামারীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা ইট ভাটা প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির আয়োজনে রবিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি দেওয়ান সেলিম আহমেদের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দেন সহসভাপতি ফজলার রহমান, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ইটভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ (৩) (ঙ) এবং ৮ (৩) (খ) উপ-ধারায় ‘দূরত্ব নির্দিষ্ট’ করণের কারণে দেশের অধিকাংশ জিগজ্যাগ ইটভাটা অবৈধ হয়েছে। ফলে এসব ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। উক্ত উপ-ধারা দুটি সংশোধণ করা না হলে দেশের কোথাও ইটভাটা স্থাপনের স্থান পাওয়া যাবে না। ওই উপধারা দুটি সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি বহুবার পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করলেও অদ্যাবধি তা সংশোধন করা হয়নি। তবে ২০১৯ সালে পরিবেশ মন্ত্রণালয় কিছু ধারা সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারী করলেও ২০১৩ সালের ওই ধারা বহাল থাকায় অধিকাংশ ভাটা মালিকগণ লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পেতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে জ্বালানী কয়লার সংকটে চলমান ইট ভাটায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।’
সংগঠনের সভাপতি দেওয়ান সেলিম আহমেদের জানান, বর্তমানে সারা দেশে আট হাজারের অধিক জিগজ্যাগ ইটভাটায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ৪০ লাখের অধিক দক্ষ শ্রমিক নিয়োজিত আছেন। ভাটা মালিকগণ প্রতিবছর সরকারকে ভ্যাট, আয়কর ও স্থানীয় ভূমি উন্নয়ন করসহ ৫০০ কোটি টাকা প্রদানের মাধমে সামাজিক উন্নয়ন কাজে অবদান রাখছেন। ওই উপধারা দুটি সংশোধন না হওয়ায় ইটভাটা গুলো বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কর্মে নিয়োজিত এসব শ্রমিক বেকার হবে। মানববন্ধন শেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রদান করা হয়।