ডেস্ক রিপোর্ট: নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিস অডিটরিয়ামে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে ।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যৌথভাবে গত শনিবার এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বলে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও নজরুলসঙ্গীত শিল্পী অনুপ বড়–য়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এই উজ্জ্বল দুই নক্ষত্রের জীবনদর্শন এবং সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচক গবেষণাধর্মী বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
রবিঠাকুর ও নজরুলের দর্শন, আধ্যাত্মবাদ এবং সাহিত্যকর্মের উপর বক্তৃতা করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নজরুল ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ এবং বিজ্ঞানী ড. গুলশান আরা। ‘একজন কূটনীতিকের চোখে নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম’ শীর্ষক আলোচনা করেন নিউইয়র্কে নিযুক্ত ভারতের কনসাল জেনারেল রিভা গাঙ্গুলী দাস।
এর আগে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো: শামীম আহসান।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বদরবারে উচ্চ আসনে তুলে ধরেছেন। সার্বজনীনতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনা এ দুই বরেণ্য কবির লেখনীতে অত্যন্ত পরিস্ফুট। বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের অনবদ্য সৃষ্টি, যা বন্ধুপ্রতীম এ রাষ্ট্রদুটির জাতীয় ইতিহাসের অংশ। আর প্রেম ও দ্রোহের কবি নজরুলের অসাধারণ লেখনী, কবিতা ও গান ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত বাঙালি জাতিকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
কনসাল জেনারেল মোঃ শামীম আহসান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঢাকা নিয়ে আসেন এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নজরুল এবং রবীন্দ্রনাথের চর্চা ও গবেষণাকে জাতীয় জীবনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন যা নজরুল ও রবীন্দ্র সৃষ্টিকর্মকে চিরভাস্মর রাখতে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্ক সফররত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ এবং নজরুল বিশেষজ্ঞ সুধীন দাস এবং একুশে পদক বিজয়ী নজরুল ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ ড: করুণাময় গোস্বামীর সাম্প্রতিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
নিউইয়র্কে দায়িত্বরত বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকসহ বিদেশী মেহমান, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে