কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী: দুই শিক্ষার্থী ও চার শিক্ষক নিয়ে চলছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা বাবু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদালয়।
বিদ্যালয়ে হাজিরা খাতায় দেখানো হয়েছে ১৩৫ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু খাতায় কলমে ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর নাম থাকলেও বাস্তবে প্রথম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত শুধুমাত্র ২জন শিক্ষার্থীকে উপস্থিত পাওয়া যায়।
ঐ দিন বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল সমান । ৩য় শ্রেণীর ১জন, ৪র্থ শ্রেণীতে ১ জন শিক্ষার্থীছাড়া আর কোন শিক্ষার্থী দেখা যায় নি।
শিক্ষকদের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষক উপস্থিত ছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান বিদ্যালয়ে সরকারের দেওয়া সব বরাদ্দ নামমাত্র খরচ করে খাতায় কলমে খরচ দেখিয়ে বাকী টাকা প্রতিষ্ঠান প্রধান এসএমসি কমিটির সদস্য ও কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রী কম থাকায় একইভাবে ¯øীপ এর টাকাসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
যাদু খেলার দর্শকের মত আমরা শুধু চেয়ে-চেয়ে দেখি। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, মাহফুজার রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা করোনা টিকা দিয়েছে তাই আজকে স্কুলে আসে নাই। আবার কোন সময় বলেন,টিফিন দিয়েছি এখনই বাচ্চারা চলে আসবে।
আবার বলেন বাসায় ভাত খাওয়ার জন্য গেছে। শিক্ষার্থীদের বই ক্লাস রুমে নেই কেন জানতে চাইলে তিনি জানান বাচ্চাদের বাড়ি কাছাকাছি তাই বই সাথে নিয়ে গেছে। প্রধান শিক্ষকের এমন অসংগতিপূর্ণ জবাবই প্রমান করে ওই বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যার তথ্য সম্পূর্ণ ভূয়া ও বানোয়াট। যার সূষ্ঠু তদন্ত হলে সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে। তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়টি কয়েকবার চুরি হয়ে যাওয়ায় অভিভাবক সমাবেশ ও এসএমসি কমিটির মিটিং ডাকা সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার রায়হান ইসলাম বলেন,করোনা টিকা দিয়েছে বলে বাচ্চারা স্কুলে আসে নাই। বরাদ্দ বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিদ্যালয়ের সব রেকর্ডপত্র চুরি হয়ে গেছে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন।