দিনাজপুর শহরের রামনগর এলাকায় নাম বিহীন এনজিও থেকে দিন কিস্তিতে টাকা নিয়ে চরম বিপাকে পরছে এলাকার শত শত খেটে খাওয়া দিনমুজুর পরিবার। রেজিষ্ট্রেশন কিংবা কোন সরকারী অনুমোদন ছাড়াই মহল্লায় গড়ে উঠে একটি সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতি। আর এই সমিতিটি পরিচালনায় রয়েছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এই এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা চড়া সুদে নিয়ে পরিশোধ না করতে পারলে তা হয়ে লাখ টাকা। এর বিনিময়ে অসহায় পরিবারের ঘরের আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়া এবং বাড়ী দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়ে থাকেন প্রতিনিয়ত। ফলে রেজিষ্ট্রেশন বিহীন এনজিও থেকে ঋন নিয়ে পরিশোধ না করতে পেরে অনেকে সর্বশান্ত হয়েছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ডাকু ও লিমনের নেতৃত্বেই এলাকায় কাজ করে একটি কিশোর গ্যাং তাদের কাছে জিম্মি এলাকার সাধারণ মানুষ। এই কিশোর গ্যাং দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হয় এলাকায় চাদাবাজী ও মাদক ব্যবসা। ডাকু ও লিমনের ডান হাত হিসেবে ব্যাপক পরিচিত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যার মামলার আসামী বিল্লা।
এই রেজিষ্ট্রেশন বিহীন এনজিও’র সাথে জড়িত রয়েছেন, শাহরিয়ার ফরহাদ লিমন (ডাকু) ও শফিয়ার ফরহাদ লিকন, পিতাঃ ফরহাদ হোসেন, মেহেদী হাসান (মিজু), পিতাঃ মজনুর রশিদ, বিপ্লব (বিল্লা) পতা বকুল, গ্রামঃ রামনগর মাঠ, লতিফুর রহমান (রনি) পিতা মৃত হুমায়ুন রেজা টুটু, গ্রামঃ জামাইপাড়া, মহাসিন হোসেন পতা আনসার আলী, জাফরান শাওন পিতা শানু লেবুর মোড়।
অপরদিকে রনির মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে তারই আপন বড় ভাই
মো :রাসেল। তার বিরুদ্ধে মাদকের একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। ফলে এলাকায় মাদকের গডফাদার হিসেবে রাসেলের ব্যাপক নামডাক আছে। এদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস এলাকাবাসীর হয় না। কারন তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই কার সাথে বলো কে মারধর করা হয়। নিরুপায় হয়ে এলাকার আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল মানুষ নিজেদের ও এলাকাবাসীর শান্তি রক্ষার্থে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।