news_img

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৯জানুয়ারি১৬)- আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনঃ  যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ব্রিটেনে প্রবেশ না করতে দেয়ার প্রসঙ্গে সম্প্রতি যে বির্তক চলছে সেই বিতর্কে জড়িয়েছেন ব্রিটিশ সংসদ সদস্যরাও।

সোমবার হাউস অফ কমন্সে প্রায় তিন ঘন্টা চলেছে এই বিতর্ক।

কিন্তু ব্রিটেনে মি: ট্রাম্পের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন সাংসদরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ট ট্রাম্পকে ব্রিটেনে ঢুকতে না দেয়ার দেবার দাবীর পক্ষে নন ব্রিটিশ সাংসদরা।

তারা মনে করছেন, মুসলমানদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না দেয়ার বিষয়ে মি: ট্রাম্পের বক্তব্য ছিল ‘অত্যন্ত বিপদজনক’। কিন্তু তাই বলে এখন যদি তাকে ব্রিটেনে ঢুকতে দেয়া না হয় তাহলে সেটি হবে ‘এন্টি-অ্যামেরিকান’।

মি: ট্রাম্পকে ‘নির্বোধ প্রকৃতির এক বক্তৃতাবাজ নেতা’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন কোনো কোনো ব্রিটিশ এমপি।

শুধু তাই নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সকল কথা-বার্তা বলেন, সেগুলোকে ‘বিষাক্ত’ বলেও মন্তব্য করেছেন একজন সাংসদ।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প থেমে নেই। কোনো বিতর্কের তোয়াক্কা না করে কালও তিনি প্রচারণা চালিয়েছেন মার্কিন এক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

প্রচারণা চালানোর সময় খ্রিস্টান ধর্মকে রক্ষার আহ্বান জানিয়ে মি: ট্রাম্প বলেছেন “এই দেশে ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষ খ্রিস্টান, কেউ কেউ বলে আরো বেশি। অতএব আমাদের শক্তি আছে। যেভাবেই হোক আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং একসঙ্গে থাকতে হবে”।

নানান সময়ে মুসলিম বিরোধী ও অভিবাসী বিরোধী বক্তব্য দেয়ার কারণে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তীব্র সমালোচনার স্বীকার হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কিন্তু মুসলিমবিরোধী এক বক্তব্যে তিনি যখন বলেন যে, “যুক্তরাষ্ট্রে কোনও মুসলমানকে আসতে দেয়া উচিত নয়, তাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেয়া উচিত’’ তখন তার বিরুদ্ধে দেখা দেয় প্রচুর ক্ষোভ।

সেই ক্ষোভ থেকেই এক পিটিশানে ৫ লাখ ৭৪ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করে দাবী জানায়, মি: ট্রাম্পকে যেনো ব্রিটেনে প্রবেশ করতে দেয়া না হয়।

 

 

সূত্রঃ বিবিসি বাংলা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে