ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে আশপাশের অন্যান্য দেশ থেকে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো দাবি করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গুর বিষয়ে ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে উদ্যোগ নেই। এবারও সেটি করা হয়েছে। আমাদের সব প্রস্তুতি উভয় মেয়র নিয়ে রেখেছেন। যেসব কীটনাষক, ওষুধ, যন্ত্রপাতি দরকার তা মজুদ আছে।

রোববার (১৯ জুন) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে গৃহীত কার্যক্রমের পর্যালোচনা ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে তৃতীয় আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশে না। গতবার ডেঙ্গু নিয়ে আমরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলাম। আমিও অসন্তুষ্ট ছিলাম। কিন্তু যখন ভিয়েতনামে দেখি দুই লাখ লোক আক্রান্ত হয়, মালয়েশিয়ায় ৭৫ হাজার ও সিঙ্গাপুরে ৩৮ হাজার আক্রান্ত হয়েছিলো।

সারাবিশ্বে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্তদের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরে ১১ হাজার ৬৭৪ জন, মালয়েশিয়া ২ হাজার ১৩ হাজার ৬৫১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২ হাজার ৩৩১ জন, থাইল্যান্ডে আছে ১ হাজার ৫৮৪ জন, ফিলিপাইনে ৩৬ হাজার ৯৩৮ জন, ভারতে ৮ হাজার ২৭৮ জন, বাংলাদেশে ৭৩০ জন।

মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুতে বাংলাদেশে এ বছর এখনও কেউ মারা যাননি। থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে কোনো মৃত্যু নেই। তবে ডেঙ্গুতে ভারতে একজন, ফিলিপাইনে ৩১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২৯ জন, মালয়েশিয়ায় ৭ জন ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, এসব দেশ থেকে আমরা ভালো আছি। সিঙ্গাপুরে ৫৫ লাখ মানুষ, মালয়েশিয়ায় আমাদের এক তৃতীয়াংশ মানুষ, থাইল্যান্ডে এক তৃতীয়াংশ মানুষ। ফিলিপাইনেও আমাদের চেয়ে জনসংখ্যা কম, তবে ভারতে জনসংখ্যা বেশি। সার্বিকভাবে আমার মনে হয় না আমরা অসন্তোষজনক কোনো পরিস্থিতিতে আছি। আমরা কিন্তু প্রস্তুত আছি। মানুষকে সচেতন করতে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে