আসাদুজ্জামান পাভেল, ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীসহ তিস্তা চরের অববাহিকায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি হয়ে পানি বন্দি হয়ে পরছে মানুষজন৷ সেই এলাকাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন।

এসময় তিনি বলেন, প্রকৃতিক দুর্যোগে কারো হাত নেই, প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতেই পারে। দুর্যোগে আপনারা শুধু সতর্ক থাকবেন৷ ভয় পাওয়ার কিছু নাই আমাদের নিকট পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বন্যা কবলিত এলাকার একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না।

রবিবার (১৯-জুন) সকালে ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যা প্লাবিত এলাকার মধ্যে টেপাখরিবাড়ি ইউনিয়নের তেলির বাজার মসজিদ পাড়া গ্রামের পানিবন্দি মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে ২০ কেজি চাল, শুকনা খাবার, খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ময়নুল হক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান, ত্রাণ শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফেরদৌস আলম সহ ইউপি সদস্যবৃন্দ।এছাড়া পানিবন্দি এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ডিমলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতাধীন একাধিক টিউবওয়েল বসানো হয়েছে।

বন্যায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই,খগা খড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি এবং গয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজারেরও অধিক পরিবার পানি বন্দি ও বন্যায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে৷ তেলির বাজার নামক স্থানের স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমাদের জমির ফসল, মাছের ঘের বন্যার পানিতে একাকার এবং বসত ভিটায় কোথাও কোমর কোথাও হাঁটু পানি। তাই বসতবাড়ী ছেড়ে অনেকে আমরা আশ্রয় নিয়েছি উঁচু স্থানে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে