ডেস্ক রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জোটবদ্ধ নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও বিএনপি নির্বাচনে এলে পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব-নিকাশ। শেষ পর্যন্ত লড়াই হতে পারে জোট-মহাজোটেই। আপাতদৃষ্টিতে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোট থাকছে— এটা অনেকটাই নিশ্চিত।   জোটের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একইভাবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলও জোটগতভাবেই নির্বাচনের মাঠে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জোটের শরিক জামায়াত দলগতভাবে না পারলেও বিএনপি বা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার কথা ভাবছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুই মোর্চায় ৫৮টি দল নিয়ে পৃথকভাবে ভোটের কথাই ভাবছেন। এ জোটে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্ট ছাড়া সবই ‘নাম’ ও ‘প্যাডসর্বস্ব’। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকলে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটেও চলে যেতে পারে জাতীয় পার্টি। এদিকে আবার জেএসডির আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বেও  জোট-মহাজোটের বাইরে পৃথক জোট গঠনের চেষ্টা চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ জোটের মাধ্যমেই তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেনি এ জোট। এ ছাড়া সিপিবি, বাসদসহ কয়েকটি বাম দলও আলাদাভাবে মোর্চা গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বেও রয়েছে একটি পৃথক জোট। ১৪-দলীয় জোটে অন্তর্ভুক্ত হতে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সবুজ সংকেত না পেলে তারাও পৃথকভাবে নির্বাচন করতে পারে। নির্বাচন বিশ্লেষক ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে এসব জোট হয় লোক দেখানোর জন্য। কিন্তু অধিকাংশ জোটই নাম ও প্যাডসর্বস্ব। কার্যত দলগতভাবেই নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতকেই মাঠে দেখা যায়। এটা সবাই জানে। তার পরও কিছুটা শক্তি বাড়ানোর প্রতিযোগিতা থাকে প্রধান দলগুলোর মধ্যে। ’ আওয়ামী লীগের ভাবনায় ১৪-দলীয় জোটে ভোট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর বাকি থাকলেও ১৪-দলীয় জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আগামী বছরের শুরুতে শরিক দলগুলো জোটের প্রধান দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দরকষাকষি শুরু করবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। এজন্য এখন থেকেই আসনভিত্তিক প্রার্থী প্রস্তুত করা হচ্ছে।

২০০৪ সালে ১৪ দল গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়। নানামুখী চেষ্টার ফলে পরের বছর ২৩ দফা ঘোষণা সামনে রেখে বাম প্রগতিশীল জোট ১১ দল এবং আওয়ামী লীগ, জাসদ ও ন্যাপ মিলে ১৪ দল গঠিত হয়। বর্তমানে ১৪ দলে আওয়ামী লীগ ছাড়াও ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, বাসদ (একাংশ), জাতীয় পার্টি (জেপি) ও তরীকত ফেডারেশন জোটে রয়েছে। বছরখানেক আগে জাসদ ভেঙে দুটি আলাদা জাসদ গঠিত হয়। দুই জাসদই বর্তমানে ১৪ দলে আছে।

সম্প্রতি ১৪ দলের বৈঠকে সংগঠনের সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘১৪ দল একসঙ্গে আছে, একসঙ্গেই থাকবে, আমরা একসঙ্গে লড়াই-সংগ্রাম করেছি এবং করছি। আগামীতেও ১৪ দল একসঙ্গে নির্বাচন করবে। আল্লাহ চাইলে একত্রে সরকারও গঠন করতে পারব। কারণ একই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ১৪ দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। ’ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ—আম্বিয়া) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা জোটে ভোট করতে আগ্রহী। কারণ এখনো জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের হুমকি আমাদের দেশ থেকে চলে যায়নি। তবে নির্বাচনের আগে দ্বিপক্ষীয় অনেক বিষয় মীমাংসা হওয়া দরকার। সেগুলো সুন্দরভাবে মীমাংসা না হলে এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতিও থাকবে। ’ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, ‘আমরা জোটে আছি, জোট ছাড়ব না বরং জোটকে কীভাবে আরও সম্প্রসারণ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমরা জোটকে শক্তিশালী করব। ’ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ—ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি বলেন, ‘আমরা জোটগতভাবেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব। জোটের বাইরে অন্য কিছু ভাবছি না। ’ গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. শহিদুল্লাহ সিকদার বলেন, ‘এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ১৪ দলের ঐক্য। আমরা জোটে আছি, আগামীতেও জোটগভাবে নির্বাচনে যাব। ’ ন্যাপের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘জোটগতভাবে গত নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এবারও অংশ নিতে চাই। ’

জোটেই নির্বাচনের কথা ভাবছে বিএনপি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও জোটগতভাবেই করার কথা ভাবছে বিএনপি। একই সঙ্গে আন্দোলনেও এ জোট থাকছে। নির্বাচন ঘিরে কয়েকটি আসনে জোটবদ্ধভাবে প্রার্থীও দেবে বিএনপি। প্রাথমিকভাবে জোটকে অন্তত ২০-২৫টি আসন ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সরকারের বাইরে অন্য কোনো দলকেও সমঝোতার ভিত্তিতে দু-চারটি আসন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে বিএনপির। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অন্য দলগুলো হচ্ছে : জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিশ, বিজেপি, এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, জাগপা, এনপিপি, এনডিপি, লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাপ ভাসানী, মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ, ডেমোক্রেটিক লীগ, সাম্যবাদী দল ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর)। এর মধ্যে ১২টি দলেরই নিবন্ধন নেই। অধিকাংশই নাম ও প্যাডসর্বস্ব। নামে মাত্র অফিস রয়েছে কয়েকটির। ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে চারদলীয় জোটের পরিসর বাড়িয়ে ১৮-দলীয় জোট গঠন করেছিল বিএনপি। এরপর এরশাদের সঙ্গ ত্যাগ করে কাজী জাফর আহমদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি যোগদান করলে ১৮-দলীয় জোট ১৯ দলে রূপ নেয়। সর্বশেষ জোটে যোগ দেয় সাম্যবাদী দলের একাংশ। বিএনপির সিনিয়র এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে দাবি করেন, ‘এ জোটের পরিধি বাড়ানোর উদ্দেশ্য ভিন্ন ছিল। অনেকটা প্রতিযোগিতার মতোই। ক্ষমতাসীন জোটের চেয়ে বিএনপিতে দল ভারী করাই ছিল মূল লক্ষ্য। তার পরও ছোটখাটো দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি বিগত ৫ জানুয়ারি সফল আন্দোলন করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নিলে বাস্তবতার নিরিখেই জোটের প্রার্থী দেওয়া হবে। ’ এ প্রসঙ্গে জোটের শরিক বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ‘২০-দলীয় জোট গঠনই করা হয়েছে আন্দোলন ও নির্বাচন সামনে রেখে। সুতরাং সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জোটগতভাবে ২০ দল অংশ নেবে। ’

৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চায় এরশাদের ‘ঢাউস’ জোট : একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টিও পৃথকভাবে জোট গঠন করেছে। এ জোটকে নিয়েই ৩০০ আসনে তারা প্রার্থী দিতে চায়। জানা যায়, দুটি দল ও দুটি রাজনৈতিক জোটের সমন্বয়ে সম্মিলিত জাতীয় জোট (ইউএনএ) নামের একটি ‘বৃহত্তর জোট’ গঠন করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এ জোটে দুটি নিবন্ধিত দলসহ মোট ৫৮টি দল রয়েছে। সংখ্যার বিচারে এটা এখন দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক জোট। জোটের চেয়ারম্যানও এরশাদ। দুটি জোট জাতীয় ইসলামী মহাজোট ও বাংলাদেশ জাতীয় জোট (বিএনএ)। এর মধ্যে প্রথম দুটি দল নিবন্ধিত। বাকি সবই নাম ও প্যাডসর্বস্ব। ইসলামী মহাজোটে আছে ৩৪টি ইসলামী দল আর বিএনএতে ২২টি। সব মিলিয়ে এরশাদের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্তর্ভুক্ত দল হচ্ছে ৫৮টি। জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জোটের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে পাল্টে যেতে পারে এরশাদের জোটের হিসাব-নিকাশ। হুড়মুড় করে তিনি চলে যেতে পারেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে। তবে রুহুল আমিন হাওলাদার দাবি করেন, ‘৩০০ আসনে জোটগতভাবেই প্রার্থী দেওয়া হবে। সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর বাইরে কিছু ভাবছি না। ’

রব-মান্নাদের নেতৃত্বে বিকল্প জোটের ভাবনা : জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বেশ কয়েকটি দল মিলে বিকল্প জোটের চিন্তাভাবনা চলছে। এ জোট আগামী নির্বাচনেও অংশ নিতে চায়। এ নিয়ে সম্প্রতি আ স ম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। শুরুতে পুলিশ বাধা দিলেও শেষ পর্যন্ত জোটের শীর্ষ নেতারা প্রায় ৩ ঘণ্টা বৈঠক করেন। জেএসডি ও নাগরিক ঐক্য ছাড়াও নতুন এ জোটে অন্য দলগুলোর মধ্যে রয়েছে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরাম, সিপিবি, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাম মোর্চা। যদিও সিপিবি ও বাম মোর্চাগুলো পৃথক জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না গতকাল জানান, ‘এখনো জোটের আত্মপ্রকাশ হয়নি। শিগগিরই আরও একটি বৈঠকের পর নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার দাবি নিয়ে মাঠে থাকবে এ জোট। শেষ পর্যন্ত জোটের মাধ্যমেও আমরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারি। ’

সিপিবি ও বামদের পৃথক মোর্চা : সিপিবি ও কয়েকটি বাম সংগঠন নিয়ে পৃথক মোর্চা গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় বাম মোর্চা জোট গঠনের লক্ষ্যে একটি নীতিনির্ধারণী বৈঠক করে। সিপিবি, বাসদসহ কয়েকটি বাম মোর্চার নেতা এ বৈঠকে অংশ নেন। সিপিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাম মোর্চার সাইফুল হক, জুনায়েদ সাকী, বাসদের রাকেবুজ্জামান রতনসহ উভয় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা। বৈঠকের কথা স্বীকার করে গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকী বলেন, ‘একটি জোট গঠনের জন্য আমরা এর আগেও একাধিকবার বৈঠক করেছি। আবার আজ (গতকাল) বৈঠকে বসেছি। ’ তবে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।

আছে নাজমুল হুদার বিএনএ : সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে রাজনীতির মাঠে রয়েছে আলাদা বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ)। জোটটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটে যাওয়ার সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে। এজন্য আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান ব্যারিস্টার হুদা। নাজমুল হুদার জোটে রয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ লেবার ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল জার্নালিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ শ্রমিক পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় তফসিলি ফেডারেশন, বাংলাদেশ জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাগো বাঙালি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল), বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএনডিপি), বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ ৩১টি দল। তারা আওয়ামী লীগ জোটে যেতে না পারলে বিএনএ’র মাধ্যমেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। এ ছাড়া কয়েকটি ইসলামী দল পৃথক জোট করে নির্বাচনের কথা ভাবছে বলে জানা গেছে।

ব/দ/প

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে