ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর) দেশের প্রধান বন্দরী চট্টগ্রামে একটি ৫শ’ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ করবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান।রেলওয়ের শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সহকারী মহাব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বাসসকে বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে সিআরবি পাহাড়ে অবস্থিত বর্তমান ৫০ শয্যাবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় রেল ভবন (সিআরবি) হাসপাতালের ছয় একর জায়গায় এই কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।প্রকল্প পরিচালক আবদুল জলিল জানান, আগামী ৮ বছরে দুই দফায় এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। প্রথম দফার কাজ সম্পন্ন হবে ২০২১ সালের মধ্যে। এ সময় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই মেডিকেল কলেজে প্রতিবছর ৫শ’ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। আর হাসপাতালে থাকবে ৫শ’ শয্যা এবং চিকিৎসার আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা।’প্রকল্প পরিচালক বলেন, পিপিপি পলিসি গাইড লাইনের আওতায় মনোনীত কোম্পানি এই কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ করবে এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তরের আগে ৪০ বছরের জন্য এটি পরিচালনা করবে।রেলওয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, বর্তমান ৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ৫শ’ শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে উন্নীতকরণের জন্য প্রাইসওয়াটারহাউস কো-অপার্স প্রাইভেট লি., ইন্ডিয়াকে (পিডাব্লিউসি) পরামর্শক সেবা প্রদানে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এই প্রকল্পের কারিগরি, বাণিজ্যিক, আর্থিক, পরিবেশগত ও সামাজিক উপযোগিতা নিরূপণেও বিআরকে সহায়তা দেবে পিডাব্লিউসি।
জলিল বলেন, ‘আমরা এখন দরপত্রের কাগজ প্রস্তুত করছি, যা রেল মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাভের পর ছাড়া হবে।’
বিআর-এর চিফ স্টেট অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, গত মে মাসে প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজের কারিগরি ও আর্থিক সম্ভাব্যতা দেয়ার কাজ শেষ হয়েছে।বিআর-এর মহাপরিচালক আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে সংস্থার একটি বিশেষ দল বর্তমান সুযোগ-সুবিধা, সম্পদ ও অন্যান্য দিক দেখতে কয়েক মাস আগে ওই হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শন করেছে।রেল মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি গত ২৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই হাসপাতাল প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে।জলিল বলেন, সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী অগ্রসর হলে ২০১৮ সালে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে