হঠাৎ হঠাৎ বের হওয়া দেশের অসংখ্য গায়েবি পত্রিকা বন্ধের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তাছাড়া ভুঁইফোড়দের দৌরাত্ম্য কমাতে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (০৩ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্পাদক ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

ময়মনসিংহে ৯৭টি পত্রিকা প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, হঠাৎ হঠাৎ বের হওয়া পত্রিকাগুলো বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। অনেকগুলোর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, ভুঁইফোড় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিয়েও কাজ চলছে; প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। সাংবাদিকদের একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। ডাটাবেজ তৈরি হলে কে তালিকায় আছেন আর কে তালিকায় নেই তা বের হবে।

‘এখন অনলাইন পোর্টালগুলোর মধ্যে কোনটি নিবন্ধিত, কোনটি অনিবন্ধিত তার ডাটাবেজ আছে। অনুরূপভাবে সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি হলে ভুঁইফোড়দের সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। আমার আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। অনেক সমস্যা সমাধান হয়েছে, বাকি সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশা করি।’

তিনি আরও বলেন, আগে প্রকল্পের মূল্যমান কম ছিল, তখন বিজ্ঞাপনে বেশি ব্যয় করা সম্ভব ছিল না। এখন প্রকল্পের মূল্যমান বেশি তাই বিজ্ঞাপনের ব্যয় বাড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যম অত্যন্ত ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করেছে। তবে, আমরা অন্তত ২০০ পত্রিকায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বিজ্ঞাপন দিতে বলেছিলাম। কিন্তু দেওয়া হয়েছে মাত্র ৩০টিতে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৫টি ও ঢাকার বাইরে ১৫টি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। সেজন্য বেশিরভাগ পত্রিকা বিজ্ঞাপন পায়নি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনটি স্বাধীনতা দিবস কিংবা বিজয় দিবসের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সদস্যসচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, বাংলাদেশের খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সংবাদ প্রতিদিনের সম্পাদক রিমন মাহফুজ প্রমুখ।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে