রাজধানীর গাবতলী পশুহাটকে ‘ডিজিটাল হাট’ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বুধবার (৩ আগস্ট) গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হার্ট’ শীর্ষক এক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, গাবতলী ডিএনসিসির একটি স্থায়ী পশুহাট। এখানে সারা বছরই পশু বেচাকেনা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু নিয়ে আসেন বেপারীরা। তাই এই হাটটিকে আমরা স্মার্ট করতে চাই। গত ঈদুল আজহার সময় নিরাপদ ও সহজ লেনদেন নিশ্চিত করতে মোহাম্মদপুর (বছিলা), আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর ও গাবতলী পশুর হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ বসিয়েছিল ডিএসসিসি।

এই হাটগুলো ক্রেতারা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলে বিক্রেতাকে পশুর মূল্য পরিশোধ করতে পেরেছেন। এছাড়া বিকাশ ও ইসলামী ব্যাংক এম ক্যাশের মাধ্যমেও মূল্য পরিশোধ করছেন ক্রেতারা। এসব বিষয় নিয়েই আজ ওই অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, স্মার্ট হাট, একটি স্মার্ট মুভমেন্ট। আমরা ক্যাশ টাকামুক্ত সোসাইটি করতে পারলে অনেক বিড়ম্বনা কমবে। উন্নত বিশ্বে এমনটাই হচ্ছে।এবার ওই ছয়টি পশুহাটে ৩৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই নিরাপদে টাকা বহন করতে পেরেছেন।

গুলশান-বনানী এলাকায় পরীক্ষামূলক ৫০০ ব্যক্তিগত গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা তৈরি করা হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসি এলাকার কোনো রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য ইজারা দেওয়া হয়নি। অনেকেই যেখানে-সেখানে গাড়ি পার্কিং করেন। এতে সড়কে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এই অবস্থান থেকে পরিত্রাণের জন্য গুলশান-বনানীতে ৫০০টি গাড়ি পার্কিং করা হবে। এটা ইজারাদার পরিচালনা করবে। প্রতিটি গাড়ি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেবে। এটা সফল হলে পরে অন্যান্য এলাকায় পার্কিং করা হবে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে