সাম্প্রতিক সংবাদ

গাজীপুরে গ্যাস সংকটে মধ্যরাতে রান্না

gass

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৮সজানুয়ারি১৬-  গাজীপুর প্রতিনিধি:   গাজীপুর সিটি করপোরেশন  এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীকে একবেলা রান্না করে তিনবেলা খেতে হয়। গ্যাস সংকটে যথাসময়ে রান্না করতে না পারায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোনো ফল না পেয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এসব এলাকায় কয়েক লাখ মানুষ বসবাস করছেন। গ্যাস সংকটে মহাভোগান্তিতে আছেন তারা। এ সমস্যা দূর করতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট গ্যাস অফিসে আবেদন করেছেন। গ্যাস সমস্যা সমাধানে জেলা প্রশাসকের কাছেও আবেদন করা হয়েছে। তারপরও সমাধান না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।

ভোগড়া গ্রামের গৃহবধূ শেফালী বেগম জানান, গ্যাসহীন অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হলে আর এলাকায় বাস করা যাবে না। গ্যাসের চুলা আছে গ্যাস নেই। রাত ১টার দিকে কিছু গ্যাস আসে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ফুরিয়ে যায়। সকাল ৮টার আগে চুলা ধরাতে গিয়ে ম্যাচের কাঠি জ্বলে শেষ হয়ে গেলেও চুলা জ্বলে না। রাত ১টার দিকে কিছু গ্যাস চুলায় আসতে শুরু করে। ওই সময় না ঘুমিয়ে রান্না করি। অনেক সময় অতিকষ্টে লাকড়ি ব্যবহার করেও রান্না করতে হচ্ছে। একবার রান্না করে তিনবার খাই। অনেক সময় পান্তা ভাতই খেয়ে থাকি। অথচ মাস পার হলেই গ্যাসের চুলার জন্য টাকা গুনতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকায় সংসারে জ্বালানি খরচ বেড়ে গেছে।

ভোগড়ার বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে চৌধুরীবাড়ি সড়ক ঘেঁষে কিছুদূর পর্যন্ত মোটা পাইপ দিয়ে কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করায় ওই এলাকায় তেমন গ্যাস সংকট হচ্ছে না। একই সড়কের পাশ দিয়ে সরু পাইপ দিয়ে ভোগড়া এলাকার দিকে আবাসিক লাইন নেওয়া হয়েছে। এ লাইন থেকেই আশপাশের বিভিন্ন কারখানায় গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ওইসব কারখানায় কমপ্রেসর স্থাপন করে গ্যাস টেনে নেওয়ায় আবাসিক গ্যাস লাইনে গ্যাসের চাপ একেবারেই থাকছে না। তবে এসব কারখানা বন্ধ থাকলে মধ্যরাতে কিছু গ্যাস পাওয়া যায়।

গ্যাস সঙ্কটের ব্যাপারে সালনার আসমাউল হুসনা  বলেন, সকালে পরিবারের সদস্যদের  রান্না করে খাওয়ানো যাচ্ছে না। দোকানের শুকনো খাবার খাইয়ে থাকতে  হচ্ছে। বাড়িতে মেহমান আসলে আরও বিপদ ! তখন প্রতিকারের কোন উপায় থাকে না।

টিএন্ডটি গলির দোকানদার সাইফুল ইসলাম জানান, ইদানীং দোকানে পাউরুটি, বিস্কুট ও কলা বেশি করে রাখি, এসব দ্রুত বিক্রি হয়ে যায়। কোন কোন দিন সন্ধ্যার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। কারণ গ্যাসের অভাবে অধিকাংশ বাসায় রান্না হচ্ছে না, এই কারণে অনেককেই রাতে পাউরুটি, বিস্কুট, কলা খেয়ে থাকতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।

একই এলাকার বাসিন্দা শিমুল জানান, দুই দিন আগে নাওজোর থেকে বাসা বদল করে টিএন্ডটি এলাকায় আসলাম। আগের বাসায় গ্যাসের যেমন সংকট ছিল, নতুন বাসাতেও তাই।

Facebooktwitterredditpinterestlinkedinmail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
shared on wplocker.com