মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা ৯ নং মাগুড়া ইউনিয়নের চেকপোস্ট এলাকায় বিভিন্ন সার সহ একটি ট্রাক আটক করেছেন এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঐ এলাকার প্রায় ২ শত জনের মত এলাকাবাসী মাগুরা ইউনিয়নের মাগুড়া উত্তরপাড়ার মৃত মাহাবুল মিয়ার ছেলে এবং মাগুড়া ইউপির সরকার কর্তৃক নিবন্ধন প্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসের নিয়ন্ত্রিত ডিলার মের্সাস মাহাবুবার রহমান সকাল ১০ টার দিকে চার শত আঠারো বস্তা বিভিন্ন প্রকার সার ট্রাকে করে পার্বতীপুরে জনৈক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়ে ছিলেন। এ সময় চেকপোস্ট এলাকার কিছু ব্যাক্তিতা দেখতে পেয়ে ট্রাকটি আটক করে দেয়। পড়ে খবরটি জানাজানি হলে সেখানে প্রায় ২ শাতাধিক এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পাচার হয়ে যাওয়ার সময় ট্রাকটি হাতে নাতে আটক করে। এলাকাবাসী উত্তেচিত হয়ে পড়ে এখন আলু চাষের সময় এসেছে এই এলাকায় তাই এলাকাবাসী হৈচৈ শুরু করে দেয়। মাগুড়া ইউপির চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান মিঠু এলাকাবাসীকে উত্তেচিত অবস্থা দেখে তিনি সকলকে শান্ত করেন।
তার কথার আশ্বাসে এলাকাবাসী শান্ত হয়। ঐ সময় আরো আসেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম তিনিও একই কথা বলেন এলাকাবাসীকে। তার পর পরেই আসেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। সকলে ট্রাকটি আটক করেন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। ট্রাক থেকে সার নামালে জানা যায় সেখানে ডিএপি- অট্রেলিয়ান ১৫৬ বস্তা, ডিএপি- চায়না ৬৬ বস্তা, ডিএপি- দেশি ৪৫ বস্তা, টিএসপি – ১৪৩ বস্তা, এমওপি ০৮ বস্তা, মোট ৪১৮ বস্তা বিভিন্ন সার সেই ট্রাকে পাওয়া যায়।
যেখানে সার সংকটে কৃষক আজ দিশেহারা সেখানে কিভাবে একজন ডিলার তার পয়েন্ট থেকে এভাবে সার চুরি করে বিক্রি করেন। এখানে কৃষি অফিসের গাফলতির কারণে এমনটি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবী। তারা যদি সঠিক হিসাব রাখতো তাগলে একজন ডিলার নিজের উপজেলে থেকে অন্য উপজেলায় কিভাবে সার বিক্রি করত। এলাকাবাসী, সেলিম,রুবেল, মশিউর, সহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন দ্বিতীয় বার যেন তাকে আর ডিলারি দেয়া না হয়।
কিশোরগঞ্জ থানার এস আই রবিউল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে সারগুলি পূর্ণরায় তার ডিলার পয়েন্টে রাখা হয়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারী নিয়মনীতি অনুযায়ী যা করণীয় আছে তিনি তা করবেন বলে এলাকাবাসী সহ সকলকে আশ্বাস প্রদান করেন।