ডেস্ক স্পোর্টসঃ সরকারের হাতে নিয়ন্ত্রণ রেখেই নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। সোমবার বিকালে এ প্রজ্ঞাপন জারি করে তা গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য সরকারি প্রেসে (বিজি প্রেস) পাঠানো হয়েছে। রাতেই গেজেট প্রকাশ হয়েছে।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, শৃঙ্খলাবিধির গেজেট হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ আগে প্রকাশ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এসকে সিনহার কারণেই বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট প্রকাশ করতে বিলম্ব হল।
এ বিধিমালা অনুযায়ী অধস্তন বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হবে। গেজেটে ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ’ অর্থ রাষ্ট্রপতি বা তৎকর্তৃক সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রণীত রুলস অব বিজনেস-এর আওতায় সার্ভিস প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে বোঝানো হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধস্তন আদালতের শৃঙ্খলাবিধির ওপর কার্যত সরকারেরই নিয়ন্ত্রণ থাকছে। কারণ সার্ভিস সদস্যদের প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় বলতে আইন মন্ত্রণালয়কেই বোঝানো হয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, আগে বিধি ছিল না, এখন বিধি হয়েছে। তাতে অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা যদি মন্ত্রণালয়ের হাতেই থাকে তবে বিধি করার প্রয়োজন কী ছিল। তিনি বলেন, মাজদার হোসেন মামলার রায় অনুযায়ীও নিম্ন আদালতের বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সুপ্রিমকোর্ট সে বিষয়ে বলে দেবেন কাকে দিয়ে তদন্ত করতে হবে। তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ মতো নিম্ন আদালতের বিচারকদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
সরকারের এ গেজেট প্রকাশের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ যুগান্তরকে বলেন, মাজদার হোসেন মামলার রায়ে বিচার বিভাগের পূর্ণ ক্ষমতা সুপ্রিমকোর্টের ওপর থাকবে। কিন্তু সরকারের হাতে ক্ষমতা রেখে যদি বিধি হয়ে থাকে তাহলে এটা দুঃখজনক।
এদিকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কে হবে- জানতে চাইলে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক সোমবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই বিষয়টি বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিচারকদের শৃঙ্খলা ও আচরণবিধি নিয়ে পদত্যাগকারী প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের টানাপোড়েন চলছিল। সিনহা চেয়েছিলেন ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী বিচারকদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ হবেন সুপ্রিমকোর্ট। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়েও তিনি এ বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তখন বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে নিতে চান।
গেজেট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কে হবে তা বিধিমালার ২-এর (ছ) ও (জ)-উপধারায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে। (ছ) উপধারায় বলা হয়, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অর্থ, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট এবং সার্ভিস সদস্যদের প্রশাসনিক বিষয়ে স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ।’ (জ) উপধারায় বলা হয়, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ অর্থ রাষ্ট্রপতি বা তৎকর্তৃক সংবিধানের ৫৫(৬) অনুচ্ছেদ অনুসারে প্রণীত রুলস অব বিজনেসের আওতায় সার্ভিস প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগ।’
মূলত নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিষয়ে আইন সচিব যুগান্তরের অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সংবিধানে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিধি প্রণয়ন করা হয়েছে। মাজদার হোসেন মামলায় বিচারকদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বলতে উচ্চ আদালতকে বুঝানো হয়েছে- এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইন সচিব বলেন, ১২ দফা নির্দেশনায়ও বলা আছে, সংবিধান অনুযায়ী বিধিমালা করতে হবে।
সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে অধস্তন আদালত নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার বিষয়ে বলা হয়েছে- ‘বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রিমকোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে।’
এদিকে বিধিমালায় মোট ৭টি অধ্যায় এবং ৩৫টি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। এর সংক্ষিপ্ত শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘এ বিধিমালা বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা-২০১৭ নামে অভিহিত হবে। সংবিধানের ১৩৩ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি বিধিমালা প্রণয়ন করেন। বিধিমালার প্রথম অধ্যায়ে নিম্ন আদালতে বিচারকদের অদক্ষতা ও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান তদন্ত ও ব্যবস্থাগ্রহণকারী তথা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে অভিযোগ অনুসন্ধান ও বিভাগীয় মামলার রুজু তৃতীয় অধ্যায়ে সাময়িক বরখাস্ত ও অবসান, চতুর্থ অধ্যায়ে দণ্ড, পঞ্চম অধ্যায়ে তদন্ত ও আরোপ পদ্ধতি, ষষ্ঠ অধ্যায়ে আপিল ও রিভিউ এবং সপ্তম অধ্যায়ে বিবিধ বিষয় তুলে ধরা হয়। অর্থাৎ সব অধ্যায়জুড়ে আছে বিচারকদের শৃঙ্খলার বিষয়।
বিধিমালার দ্বিতীয় অধ্যায়ে অভিযোগ অনুসন্ধান ও বিভাগীয় মামলা রুজুর প্রসঙ্গে ধারা ৩ এর ১ উপধারায় বলা হয়, ‘সার্ভিসের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক কারণে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে এই বিধিমালার অন্যান্য বিধান অনুসারে অনুসন্ধান এবং বিভাগীয় মামলা রুজুসহ আনুষঙ্গিক সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে।’ এর মধ্যে শারীরিক বা মানসিক অদক্ষতার সংজ্ঞাভুক্ত অন্য কোনো পরিস্থিতি, অসদাচরণের সংজ্ঞাভুক্ত কোনো কাজ, দুর্নীতিমূলক কোনো কাজ বা দুর্নীতিতে জড়িত থাকার সংজ্ঞাভুক্ত কোনো কাজ কিংবা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কাজের সংজ্ঞাভুক্ত কোনো কাজ বা পরিস্থিতি।
ফৌজদারি অপরাধ সংগঠনের অভিযোগের প্রসঙ্গ এ অধ্যায়ে তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, কারও বিরুদ্ধে বেনামি পত্র এলেও তাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে এবং অভিযোগের সমর্থনে কাগজপত্র থাকলে বেনামি পত্রকেও অভিযোগ হিসেবে গণ্য করা হবে।
অভিযোগ তদন্ত কে করবে সে বিষয়ে দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা যুগ্ম জেলা জজ বা নিম্নতর পর্যায়ের কর্মকর্তা হলে তার বিষয়ে ন্যূনতম অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা জজ বা জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তা হলে একজন জেলা জজ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
বিধিমালার তৃতীয় অধ্যায়ে সাময়িক বরখাস্তকরণ ও তার মেয়াদের বিষয়ে বলা হয়, সার্ভিসের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজুর সময় পরবর্তী যে কোনো পর্যায়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ অনুযায়ী লিখিত আদেশ দিয়ে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে।
সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ এক বছর। এক বছরের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করে বিভাগীয় মামলা রুজুর আদেশ ইস্যু করতে হবে। অন্যথায় সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়েছে বলে গণ্য হবে। তবে বিভাগীয় মামলা চালু থাকবে।
বিধিমালার চতুর্থ অধ্যায়ে দণ্ডাদেশ আরোপের ক্ষমতার বিষয়ে বলা হয়, বিভাগীয় মামলায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টের সঙ্গে পরামর্শ অনুসারে অভিযুক্ত কর্মকর্তার ওপর বিধি ১৬-তে উল্লিখিত দণ্ডের যে কোনো একটি আরোপ করতে পারবেন।
আর বিধি ১৬-তে দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়েছে তিরস্কার বা ভর্ৎসনা, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (এক বছরের বেশি হবে না) পদোন্নতি স্থগিত রাখা, বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধি তিন বছর পর্যন্ত স্থগিত রাখা। বিধিমালার ১৭ ধারায় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত থাকলে আরোপযোগ্য দণ্ডের বিষয়ে বলা হয়, বাধ্যতামূলক অবসর, চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত করা হবে। রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজে কেউ নিয়োজিত থাকলে তাকেও চাকরি থেকে অপসারণ বা বরখাস্ত বা চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হবে।
বিধিতে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্ত কমিটি নিয়োগের বিষয়ে পঞ্চম অধ্যায়ের ১৮ ধারায় বলা হয়, (ক) সার্ভিসের পদে কর্মরত একজন তদন্ত কর্মকর্তা বা সার্ভিসের পদে কর্মরত তিনজন কর্মকর্তা সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি নিয়োগ করবে। তদন্ত কমিটি নিয়োগের ক্ষেত্রে একজন জেলা জজ পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করবে।
তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত কর্মকর্তা কমিটির কাছে তার বক্তব্য পেশ করতে পারবেন। বিধিমালার ২৫ ধারায় ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতির বিষয়ে বলা হয়, ‘সার্ভিসের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ১৯৮৫ সালের প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বরখাস্তকরণ অধ্যাদেশ অনুযায়ী কোনো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট আদালত উক্ত অপরাধ বিচারের উদ্দেশ্যে আমলে নিয়ে বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টের মাধ্যমে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে এবং ওই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন কিনা সে বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় আদেশ জারি করবেন।’
ষষ্ঠ অধ্যায়ে আপিল ও রিভিউর বিষয়ে বলা হয়, বিভাগীয় মামলায় তিরস্কার বা দণ্ডপ্রাপ্ত সার্ভিস সদস্য দণ্ডাদেশপ্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করতে পারবেন। ওই আপিল আবেদনের বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট তার পরামর্শ অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে এবং কর্তৃপক্ষ ১৫ দিনের মধ্যে আপিল আবেদনটি সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শসহ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করবেন। এ বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে এবং ওই সিদ্ধান্ত প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত আপিলকারীকে অবহিত করবেন। এ সিদ্ধান্ত পরে পুনঃবিবেচনা করা যাবে না।
প্সঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে বিচারিক আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিতে আপিল বিভাগ জানায়, শৃঙ্খলা বিধিমালাসংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ, যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।
এর পরই সুপ্রিমকোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। একই সঙ্গে ওই বছরের ৬ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রণয়ন করে প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়। কিন্তু এ নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির কয়েক দফা বৈঠক হয়।
একপর্যায়ে মন্ত্রণালয় একটি খসড়া করলে সেটিতে প্রধান বিচারপতি আপত্তি জানান। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিমকোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিমকোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন।
J/N.