পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো প্রকল্প গ্রহণ করলে সেখানে পরিবেশটা যাতে গুরুত্ব পায় সেদিকে সবার দৃষ্টি দিতে হবে। জলাধার সংরক্ষণ, পর্যাপ্ত সবুজ এলাকা রাখা ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রেখেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বুধবার (২৫ মে) সকালে গণভবনে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা পর্যবেক্ষণকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী ‘গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়’ এবং ‘রাজউক’ কর্তৃক প্রস্তাবিত ঢাকার শের-ই-বাংলা নগরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার’ নির্মাণ, কনজারভেশন অব ফ্লাড ফ্লো জোন অ্যাট তুরাগ রিভার অ্যান্ড কম্প্যাক্ট টাউনশিপ ডেভলপমেন্ট এবং কেরানীগঞ্জ ওয়াটার ফ্রন্ট স্মার্ট সিটি নির্মাণ প্রকল্পসমূহের স্থাপত্য নকশার উপস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করেন।

যত্রতত্র শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে যাতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যেকটি এলাকায় নির্দিষ্ট শিল্প জোনে হবে। যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।

শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যাগ্রো প্রসেসিং এবং আইটি ডিভাইস সংক্রান্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী রপ্তানি বাড়ানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি ছোট ছোট ইন্ডাস্ট্রিকে ভর্তুকি দেওয়ার কথাও বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে