মাফি মহিউদ্দিন, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অন্যের জমি নিজেদের দাবি করে জমিতে লাগানো সুপারীবাগান ও বাঁশঝাড় কেঁটে দিয়েছে একটি পক্ষ। জমির মালিক সুপারীবাগান ও বাঁশঝাড় কাঁটতে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন জমির মালিকসহ তিনজনকে পিটিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। আহতরা কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিতসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ফরিজুল ইসলাম ৫ জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে ও সরজমিনে গিয়ে জানা য়ায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের ডোংগা হাজীপাড়া গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে সেরাজুল ইসলাম তার বাবার পত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত এবং কবলা খরিদ মূলে ক্রয় করা ১৭ শতাংশ জমিতে সুপারীবাগান ও বাঁশঝাড় লাগিয়েছিলেন। যার মৌজা উত্তর চাঁদখানা, জে এল নং – ২৪ ও দাগ নং- ২২৩৫, জমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ। যা দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে ভোগ দখল করে আসছেন সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু গত শনিবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে সিরাজুলের ছেলেরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষ বরিজ উদ্দিনের পুত্র বজলু মিয়া, বরিজ উদ্দিনের ছেলে বদিয়ার রহমানসহ কয়েকজন সিরাজুলের জমি নিজেদের দাবি করে জমিতে লাগানো সুপারীবাগান ও বাঁশঝাড় কেঁটে ফেলে।
এসময় সিরাজুল ইসলাম (৫৫)ও তাঁর স্ত্রী ফজিলা বেগম (৪৮) বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।জানা গেছে, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলছিল। এর মধো সিরাজুল ইসলামের ছেলে ফরিজুল বাদি হয়ে গত ৬/৮/২০ ইং তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী মেজিস্ট্রেট আদালত কিশোরগঞ্জ, নীলফামারীতে ১১ জনকে আসামি করে ফোঃ কঃ বিঃ ১০৭/১১৭(সি) ধারর বিধান মোতাবেক মামলা দায়ের করেন।
তার প্রেক্ষিতে গত ১৬/০৯/২০ ইং তারিখে বিভিন্ন শর্তস্বাপেক্ষে আসামিগনদের মুচলেকার মাধ্যমে তা মিমাংসা হয়। ১০৭/ ১১৭ ধারার আইন অমান্য করে বিবাদিগণ দুইদিন পরে ঘটনার দিন ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে বরিজ উদ্দিন, তার ছেলে বদিয়ার রহমান(৩৫), ও বজলু মিয়া (২৬) ২২৩৫ নং দাগে আবারো জমি নিজের দাবি করের কাউকে কিছু না বলে, ফজিদুল ইসলামের বাড়ীর পাশে লাগানো প্রায় ২৫ টি সুপারি গাছ, জাম্বুরার গাছ ও প্রায় একশটি বাঁশ কেঁটে ফেলে।