ডেস্ক রিপোর্টঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
আগামী ১৫ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কেসিসি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে।
নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা আজ রোববার দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে। এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ লক্ষ্যে রোববার থেকে মাঠে বিজিবি নামানো হয়েছে। নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপি ব্যাটেলিয়ান, আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি থাকবে র্যাবের ৩২টি টহল টিম এবং ৪টি স্টাইকিং ফোর্স। একই সঙ্গে নির্বাচনের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সিটি নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনের লক্ষ্যে ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা কেন্দ্র ভিত্তিক নিজ নিজ অধীক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকবেন।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশনে প্রথমবারের মতো মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান মুশফিক (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাত পাখা) ও সিপিবি মনোনীত প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)। এছাড়া নগরীর ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। খুলনা সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ ও নারী ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন। ভোটকেন্দ্র ১ হাজার ১৭৮টি। প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসার রয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ জন।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্র্নিং কর্মকর্তা মোঃ ইউনুচ আলী বাসস’কে জানান, সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য ব্যালট পেপার, সিল, কালিসহ নির্বাচনী মালামাল খুলনায় এসেছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। রোববার বিকেল থেকে ১৬ প্লাটুন বিজিবি মাঠে নামানো হয়েছে। নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে ৩১জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। র্যাব-৬’র অধিনায়ক খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক নির্বাচনে র্যাবের ৩২টি টিম দায়িত্ব পালন করবে। যার প্রতিটি টিমে ৮জন সদস্য থাকবে। এছাড়া ৪টি স্টাইকিং ফোর্স থাকবে। এ টিমে ১০ জন করে থাকবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, এ নির্বাচনে সাড়ে ৯ হাজার পুলিশ, বিজিবি, এপি ব্যাটেলিয়ান ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে পুলিশের পাশাপাশি ১৬ প্লাটুন বিজিবি, সাড়ে ৪ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য থাকবে। ৯শ’ অঙ্গীভূত আনসার-ভিডিপি সদস্য থাকবে। তিনি বলেন, প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের টিমের সঙ্গে একটি করে পুলিশের টিম থাকবে। ৮টি মোটর সাইকেল টিম এবং ১১টি পিকেট টিম দায়িত্ব পালন করবেন।
B/S/S/N.