jnu m m muzahid

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৫ই  আগস্ট ২০১৬ইং)এম এম মুজাহিদ উদ্দীন, ঢাকা দক্ষিন প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার, নতুন হল নির্মাণ তথা আবাসন সমস্যা সমাধানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আজকে থেকে নয়। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ পাশ করার মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। বর্তমানে সেখানে প্রায় ২৫,০০০ ছাত্র-ছাত্রী এবং ১,০০০ জন শিক্ষক রয়েছেন। সে হিসেবে আবাসন সমস্যা প্রকটরুপ লাভ করেছে।

সম্প্রতি নাজিমউদ্দীন রোড থেকে কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হলে সেই হল আন্দোলন ও আবাসন সমস্যা সমাধানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুনরায় জেগে উঠে। মেয়র নির্বাচনের সময় আশ্বাস এবং ২০১৪ সালের হল আন্দোলনের সময় শিক্ষা মন্ত্রী বড় বাজেট এবং হল নির্মাণের আশ্বাস দিলেও সেই আশ্বাস স্বপ্নতেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। আর তাই এবারের আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা জোরেসোরেই মাঠে নেমেছেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে  রবিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনে হল নির্মাণের ও কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা জবিকে হস্তান্তরের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোলাম রাব্বী, মনিরুল ইসলাম রাজন, রাইসুল ইসলাম নয়ন, মাহিম, রাশেদ, শফিক, স্মরণ, অনিমেষ, তন্ময় প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ১০ বছর অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত আমাদের কোনো হল নেই। দীর্ঘদিন হলের জন্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে কিন্তু প্রশাসনের আশ্বাসের চোরাবালিতে তা ব্যর্থ হয়েছে। এই সময়ে সারাদেশে জঙ্গি দমনের নামে মেসে মেসে পুলিশি অভিযান চলছে। তাই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের নিরাপরাধ শিক্ষার্থী হয়েও আমরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। ফলে শিক্ষার্থীরা আবার হলের দাবিতে দীর্ঘ ১২ দিন যাবৎ আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনে প্রক্টরের নেতৃত্বে শিক্ষক সমিতিসহ প্রশাসন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কার জনকভাবে হামলা চালায়।”

শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, “এই সময়ে নাজিমউদ্দিন রোডে পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা খালি হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ২০১৪ সাল থেকে এই জমি জবিকে হস্তান্তরের দাবি করে আসছে। কিন্তু প্রশাসন ও রাষ্ট্র প্রায় নির্বিকার। তাই আমরা আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে হল নির্মাণসহ পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গাকে জবিকে হস্তান্তরের সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে ১৭ ই আগস্ট শিক্ষামন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।”

কর্মসূচি : শিক্ষার্থীরা নতুন হলের দাবিতে তাদের ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে
১।  ১৬ ই আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ ও প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
২। ১৭ ই আগস্ট শিক্ষামন্ত্রণালয় ঘেরাও (১৬ তারিখের মধ্যে সুস্পষ্ট ঘোষণা না দিলে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে