মাফি মহিউদ্দিন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) থেকেঃ অসুস্থ শ্বাশুরীকে দেখতে এসে ৮ মাসের অন্তসত্বা শাহিনা আহমেদের(২৮) ঠাঁই হলো না স্বামীর ঘরে। সতিন ও তার লোকজন বেধরক মারপিঠ করায় মুমূর্ষু অবস্থায় কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনয়নের পানিয়ালপুকুর চেয়ারম্যানপাড়া গ্রামে।

স্বামী ইসা রুহুল্লার্হ (৪০) বাড়ীতে অসুস্থ্য শ্বাশুরীকে দেখতে আসে ৮ মাসের অন্তসত্বা শাহিনা আহমেদ। এসময় সতিন ও তার দলবল তাকে বেধরক মারপিঠ করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এছাড়া তার সাথে থাকা একটি দামী স্মার্টফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় তারা। অসহায় শাহিনা আহমেদকে আহত অবস্থায় কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক যুবক। প্রায় ৯ মাস আগে ওই গ্রামের মৃত ইসহাক জামাতির পুত্র ইসা রুহুল্লাহ্ (৪০) ঢাকার জিগাতলা টেনারীমোড়ের কাজী অফিসে শাহীনা আহমেদকে বিয়ে করে। শাহীনা আহমেদ কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালপুকুর কাচারীপাড়ার মৃত জাফর আহমেদের বড় মেয়ে।

উল্লেখ্য যে, ইসা রুহুল্লাহ নিতাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক হোসেনের চাচাত ভাই। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই মেয়েটির কবলে পরে ইসা বাধ্য হয়ে বিয়ে করেছে। সে তার বিবাহিত স্ত্রীকে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছে। এদিকে কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন বাদীনির মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।

এদিকে শাহীনা আহমেদেও সাথে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে কথা হলে তিনি জানান, অসুস্থ্য শ্বাশুরীকে দেখতে গেলে আমার স্বামী সতিন ও অন্যান্যদের লেলিয়ে দিয়ে বাড়ী থেকে সট্কে পরে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে