medicine

বিডি নীয়ালা নিউজ(৮ই জুন ২০১৬ইং)- ডেস্ক রিপোর্টঃ ‘ওষুধ’ বিশেষজ্ঞ কমিটির মূল্যায়ন এবং সুপারিশে ২০ কোম্পানিকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কোম্পানিগুলো ‘মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ব্যর্থ’ বলে মত দিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি। সাত দিনের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করতে বলেছে হাইকোর্ট। এছাড়া হাইকোর্ট আরো ১৪টি কোম্পানিকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন বন্ধ করতে বলেছেন।

আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না সে বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ওষুধ প্রশাসনের পরিচালককে ১৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। গত মে মাসে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এসব কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করে।

মোট ৩৪টি কোম্পানির লাইসেন্স ও এন্টিবায়োটিক উৎপাদন করার অনুমোদন কেন বাতিল হবে না, সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল রুলে। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোর্শেদ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।

ওষুধ উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে ২০টি কোম্পানিকে : এক্সিম ফার্মাসিউটিক্যাল, এভার্ট ফার্মা লিমিটেড, বিকল্প ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ডলফিন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ড্রাগল্যান্ড লিমিটেড, রিমো কেমিক্যালস লিমিটেড (ফার্মা ডিভিশন), রিড ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্কাইল্যাব ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্পার্ক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, স্টার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সুনিপুণ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, টুডে ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ট্রপিক্যাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, গ্লোব ল্যাবরেটরিজ (প্রাইভেট) লিমিটেড, জলপা ল্যাবরেটরিজস লিমিটেড, কাফমা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, মেডিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ন্যাশনাল ড্রাগ ফার্মা লিমিটেড, নর্থ বেঙ্গল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এবং ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

এন্টিবায়োটিক উৎপাদন বন্ধ করতে যে ১৪ কোম্পানিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে : আদ-দ্বীন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড, মিল্লাত ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, এমএসটি ফার্মা অ্যান্ড হেলকেয়ার লিমিটেড, অরবিট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, আলকাদ ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড, বেলসেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, বেঙ্গল ড্রাগস অ্যান্ড কেমিক্যালস (ফার্মা) লিমিটেড, ব্রিস্টল ফার্মা লিমিটেড, ক্রিস্ট্যাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, পনিক্স কেমিক্যাল ল্যাবরেটরি লিমিটেড, রাসা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও সেভ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

ভেজাল এবং নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করতে ২০১৪ সালের ২০  সেপ্টেম্বর ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠিত হয়। তাদের প্রতেবেদনে ২০টি কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল এবং ১৪ কোম্পানির সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন বাতিলের সুপারিশ করা হয়।

এরপর ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল ‘জীবন রক্ষাকারী ওষুধে ভেজাল’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে রিট আবেদন করা হয়।

 

n/live 24

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে